নিষিদ্ধ জামাত ইসলামির উগ্র বার্তা রুখতে বাংলাদেশে ফের বন্ধ ফেসবুক ও টেলিগ্রাম

সন্ত্রাস দখল আইনে বাংলাদেশে ‘নিষিদ্ধ’ হয়ে গেছে জামাত ইসলামি সংগঠন। তবে নিষিদ্ধ ঘোষণার পরপরই দলটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল ‘বুমেরাং’ হবে। এই বার্তাসহ বিভিন্ন উগ্র মন্তব্য ছড়াতে শুরু করে। পাশাপাশি কোটা সংস্কার ইস্যুতে পড়ুয়াদের আন্দোলনে গুলি চালানো ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে শুরু হয় গণজমায়েত কর্মসূচি। শুক্রবার সেই কর্মসূচি অনুসারে বাংলাদেশের সর্বত্র চলছে অবস্থান। এই অবস্থায় ফের সামাজিক মাধ্যম বন্ধ করা হল।

Advertisements

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের দাবিতে শুক্রবার ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় ইসলামি সংগঠনগুলির গণমিছিল শুরু হয়। যে কোনও হিংসাত্মক পরিস্থিতি রুখতে বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ করা হয়েছে। শুধু মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ বলেই জানা গেছে। মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম বন্ধ করা হয়েছে।

Advertisements

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হিংসাত্মক আন্দোলনে রক্তাক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। গত ১৭ জুলাই রাত থেকে ৩১ জুলাই দুপুর পর্যন্ত মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম বন্ধ ছিল। গত ৩১ জুলাই বেলা দুইটার পর থেকে তা চালু হয়। ২ আগস্ট মোবাইল নেটওয়ার্কে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোর ক্যাশ বন্ধ করা হয়।

সন্ত্রাস দমন আইনের ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে জামাত ইসলামি সংগঠন। বাংলাদেশ সরকারের অভিযোগ, সাম্প্রতিক পড়ুয়াদের আন্দোলনে জামাতসহ বিভিন্ন উগ্র সংগঠন ও জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো রক্তাক্ত পরিস্থিতি কায়েম করে অভ্যুত্থান ছক করেছিল। তারা এখনও সেই চেষ্টা চালাচ্ছে।