ভয়াবহ পরিস্থিতি বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র চট্টগ্রামের (Chittagong) সীতাকুন্ড এলাকায়। শনিবার রাতে সীতাকুন্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কন্টেনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় রাসায়নিক বঙ্গোপসাগরে মিশবে এমন আশঙ্কা বাড়ছে। মারাত্মককম পরিবেশ বিপর্যয়ের ভয় পাচ্ছেন পরিবেশবিদরা। এদিকে বিস্ফোরণের পর বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। কমপক্ষে ৩৭ জন মৃত। দেড়শোর বেশি জখম।
রবিবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এই দিনে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের আশঙ্কা, চট্টগ্রামের উপকূল বরাবর বঙ্গোপসাগরে মিশতে চলেছে রাসায়নিক। কারণ, সীতাকুন্ডের কন্টেনার গোডাউনের আগুন নেভানোর পর বিস্ফোরণস্থল থেকে বেরিয়ে আসা রাসায়নিক পদার্থ সাগরের দিকে যাবেই।
সীতাকুন্ড বিস্ফোরণের জেরে রাসায়নিক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছে এলাকাটি। এমন আশঙ্কা বাড়তেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। রাসায়নিক বিপর্যয় ঠেকাতে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ ইঞ্জিনিয়র বাহিনী নেমেছে।
চট্রগ্রাম সেনাবাহিনীর ব্যাটালিয়ন-১ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরা সুলতানা জানান, ওই কন্টেনার ডিপোতে আগুনে গলতে থাকা রাসায়নিক পদার্থে যাতে ড্রেনের মাধ্যমে সমুদ্রে না ছড়াতে পারে সেজন্য সেনাবাহিনীর বিশেষ ইঞ্জিনিয়ারিং টিম ড্রেনেজ ব্যবস্থা বন্ধ করতে যাচ্ছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু থাকলে সেই রাসায়নিক সাগরে ছড়াতে পারে। এতে সাগরের জল, মৎস্য ও জলজ প্রাণীদের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মহম্মদ আশরাফ উদ্দিন বলেছেন, বিষাক্ত কেমিক্যাল যুক্ত জল যেন বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশতে না পারে- সেটি রুখতে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, সীতাকুন্ডের ওই ডিপোতে অন্তত ২৭টি কেমিক্যাল ভর্তি কন্টেনার ছিল। শনিবার রাতে একটি কন্টেনারে বিস্ফোরণ হয়। তার পরই আগুন ছড়ায়। তবে বাকি কন্টেনারগুলো সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে।
সীতাকুন্ডের ওই কন্টেনার ডিপোতে লাগা আগুন রবিবারেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। জ্বলছে পুরো এলাকা।দমকলকর্মীরা বলছেন, কন্টেনারগুলোতে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড দাহ্য কেমিক্যাল পুড়ছে। তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।