চরম শত্রুরা এক থালায় খাবেন! ফের হাসিনা-খালেদা জোটের আহ্বান, গরম বাংলাদেশ

উতলা ঝড়ো হাওয়ার মত বাংলাদেশের রাজনীতি ঘুরছে। গণবিক্ষোভে ক্ষমতা হারানো শেখ হাসিনা ‘নরম’। তাঁর আমলে বন্দি থাকা খালেদা জিয়া মুক্ত। সামনে ভোট। এই চরম শত্রুরা…

উতলা ঝড়ো হাওয়ার মত বাংলাদেশের রাজনীতি ঘুরছে। গণবিক্ষোভে ক্ষমতা হারানো শেখ হাসিনা ‘নরম’। তাঁর আমলে বন্দি থাকা খালেদা জিয়া মুক্ত। সামনে ভোট। এই চরম শত্রুরা এক থালায় ভাত খাবেন! ফের হাসিনা-খালেদা একজোটের আহ্বান থেকে গরম ঢাকার রাজনীতি। শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া পরস্পর বিরোধী হলেও দুজনেই ১৯৯০ দশকে জেনারেল এরশাদের সামরিক সরকার বিরোধী আন্দোলন একসঙ্গে করেছিলেন। জয়ী হয়েছিলেন। সেনা শাসনের পতন হয়েছিল।

সরকারি চাকরিতে আসন সংরক্ষণ ইস্যু ঘিরে রক্তাক্ত গণবিক্ষোভে গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রিত শেখ হাসিনা। তিনি ক্ষমতাচ্যুত হতেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি দলনেত্রী খালেদা জিয়া বন্দিত্ব থেকে মুক্তি পান। শেখ হাসিনার আমলে দীর্ঘ সময় খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।

   

বাংলাদেশে বর্তমানে নোবেল জয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তী সরকার চলছে তারা আগামী তিন মাসের মধ্যে ফের নির্বাচনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ফিরে নতুন ভোটে নিজের দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিতে চান শেখ হাসিনা।

গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের জন্য বিএনপির সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন প্রাত্তন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। শুক্রবার রাতে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা জানান। মা দেশত্যাগ করার পর থেকে একেরপর এক স্ববিরোধী মন্তব্য করছেন জয়। তিনি আগে বলেছিলেন মা আর বাংলাদেশে ফিরবেন না। এবার তিনি ভোটে লড়ার কথা বলছেন।

বিএনপির সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার পুত্র জয় বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমরা বিএনপির সঙ্গে কাজ করতে চাই। আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই এটি নিশ্চিত করার জন্য যে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকবে, যেখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’

জয় বলেন, ‘খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে বলেছেন, যা হওয়ার হয়ে গেছে, সেগুলো মনে রাখার প্রয়োজন নেই। তার এমন বক্তব্যে আমি খুশি। আমরা অতীত ভুলে যাই। আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ না করি। আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, সেটি ঐকমত্যের সরকার হোক বা না হোক।’

জয় বলেন, ‘রাজনীতি ও আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে আমি মনে করি। আমরা নানা ইস্যুতে তর্ক করতে পারি। আমরা কোনো বিষয়ে একমত নাও হতে পারি। তবে ভিন্নমত পোষণের অধিকারের প্রতি আমাদের একমত থাকতে হবে। আর আমরা সবসময়ই আপস করার উপায়ও খুঁজে বের করতে পারি।’