Bangladesh: দুর্গা পূজায় পুরান ঢাকার বিখ্যাত মাটির শাড়ি গয়নার চাহিদা তুঙ্গে

বাঙালিরা নতুন পঞ্জিকা হাতে পেলে যে দিনগুলির অপেক্ষায় থাকে তার মধ্যে অন্যতম হলো দুর্গাপূজা। বাতাসেও যেন সেই আগমনের সুর। বাংলাদেশে চলছে শারদীয়া প্রস্তুতি। Advertisements হরিপদ…

বাঙালিরা নতুন পঞ্জিকা হাতে পেলে যে দিনগুলির অপেক্ষায় থাকে তার মধ্যে অন্যতম হলো দুর্গাপূজা। বাতাসেও যেন সেই আগমনের সুর। বাংলাদেশে চলছে শারদীয়া প্রস্তুতি।

Advertisements

হরিপদ পাল তিনি এবং তার প্রতিমা বানানোর ঘর যেন কালের সাক্ষী। বয়সের ভারে কিছুটা নুইয়ে পড়েছেন তবে মনের শক্তি দিয়ে বংশ পরম্পরায় বানিয়ে চলেছেন মা দুর্গার প্রতিমা। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আমি এই কাজ করি। এটা আমার পেশা নয়, বরং নেশা।

   

কেউ প্রতিমার শুকোতে রেখেছেন আবার কোথাও কোথাও চলছে রং করার পালা। শিল্পীর যে তুলিতে তৈরি হয় অসুর সেই তুলিতেই আবার তৈরি হয় মায়ের মূর্তি। এক শিল্পী জানিয়েছেন মায়ের চোখ আঁকতে সময় লাগে দুদিন একটি চোখে সাত থেকে আটটি রং ব্যবহার করা হয়।

পুরনো ঢাকার গলিতে দেশ-বিদেশ থেকে আসেন বহু কারিগর। ভক্তরা ছুটে আসেন প্রতিমার গহনা, শাড়ি ও রণসজ্জার সামগ্রী কিনতে। দুর্গাপূজা বাঙালির এক অন্যতম আবেগ। তাইতো গোটা বছর টিউশনি করে পাওয়া টাকা জমিয়ে বহু মানুষ এ দোকান সে দোকান ঘুরছেন পছন্দের শাড়ি গহনা কিনতে।

শরতের আকাশে মেঘের এলোমেলো বেলা যেন জানান দিচ্ছে দেবীর আগমনীর বার্তা। তাইতো সাজছে দেবী, ব্যস্ত কুমোর পাড়ার কারিগররা। আর তাকে ঘিরেই কেনা বেচার এক বিশাল আয়োজন। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন মাটির প্রতিমায় মাটির শাড়ি ও গহনার জন্য এবছর আলাদাভাবে গহনা ও শাড়ি কেনার বাজারে একটু ধস নেমেছে।

বাংলাদেশে সংখ্যলঘু সনাতন ধর্মীয়দের সবথেকে বড় উৎসবের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তবে এবার নিরাপত্তার সিসিটিভি ও রক্ষী বলয়ে ঘেরা থাকবে মণ্ডপগুলি।