বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকা শহরের একটি বিদ্যালয়ে যুদ্ধবিমান ধংসের (Dhaka Plane Crash) পর নিহতের সংখ্যা প্রকাশে বিস্তর গরমিল আছে এমন অভিযোগ প্রবল। মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে কয়েকজন পুলিশ ও সেনা জওয়ানরা বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের হামলায় জখম।
বাংলাদেশের সংবাদপত্র ইত্তেফাক জানাচ্ছে, সোমবার ঢাকার উত্তরা এলাকার মডেল স্কুল ও কলেজের উপর যুদ্ধবিমান ভেঙে দুর্ঘটনার পর জানা যায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত। বেশিরভাগই পড়ুয়া। এরপর থেকে নিহতের সংখ্যা ঠিক কত তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায়। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচভেল জানায়, সরকারিভাবে ৩১ জন নিহত। অন্যান্য সংবাদপত্রের খবর, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ভে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। কারণ, বিমান ধংসের পর বিস্ফোরণে ঝলসে গেছে দেড় শতাধিক।
নিহত ও আহতদের আত্মীয়রা দাবি করছেন,‘সঠিক লাশের হিসাব চাই’। ‘বিচার চাই বিচার চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ এমন দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার এবং প্রেস সচিব শফিকুল আলম। প্রায় নয় ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর তাদের উদ্ধার করা হয়।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সেনা সদস্যদের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন গুজবে কান না দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘দুর্ঘটনাস্থলে অশান্তি বিরাজ করছে এটা দুঃখজনক। এখানে লুকানোর বা গোপন করার কিছুই নেই। কার কাছে গোপন করবো। আমরা সবাই দেশের মানুষ। হতাহতের বিষয়ে যখনই কোন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তা আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর) প্রকাশ করছে।