ঢাকার বিদ্যালয়ে বিমান ভেঙে বহু মৃত্যু, মোদীর সাহায্য বার্তা

দুই পড়শি দেশের কূটনৈতিক গরম সম্পর্ক চলছে। তবে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার (Dhaka Plane Crash) পর ভারত সরকারের তরফে পড়শি বাংলাদেশে সাহায্য বার্তা গেল। সোমবার বাংলাদেশ…

Dhaka Plane Crash

দুই পড়শি দেশের কূটনৈতিক গরম সম্পর্ক চলছে। তবে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার (Dhaka Plane Crash) পর ভারত সরকারের তরফে পড়শি বাংলাদেশে সাহায্য বার্তা গেল। সোমবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনির একটি প্রশিক্ষণ বিমান ঢাকার একটি বিদ্যালয়ে ভেঙে পড়ে বহু পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। শতাধিক জখম।

বিমান বিধ্বস্তে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্ভাব্য সব সমর্থন ও সহায়তা দিতে ভারত প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তিনি।

   

এক্সপোস্টে মোদী বলেছেন, ‘ঢাকায় এক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায়—যাদের মধ্যে অনেকেই তরুণ শিক্ষার্থী–আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। ভারত বাংলাদেশের সাথে সংহতি প্রকাশ করে এবং সম্ভাব্য সকল সহায়তা ও সমর্থন দিতে প্রস্তুত।’

Advertisements

বাংলাদেশে এটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর) সোমবার (২১ জুলাই) রাত পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায়।  বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম দুর্ঘটনাস্থল এড়াতে চেষ্টা করেছিলেন বলে জানাচ্ছে বাংলাদেশের বিমান বাহিনি।
 
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বিএসএস) জানিয়েছে, ঢাকার উত্তরা এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড়ানের পর আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনার পরে আতঙ্কে ছুটতে থাকেন শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও কর্মচারীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুইতলা ভবনের নিচ তলায় আঘাত লেগে মুহূর্তেই বিমানের ট্যাংক বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে দুইতলায়। এই ভবনে তখন নিয়মিত পাঠদান চলছিল। বিমান বিধ্বস্তের পর দিকবিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন সবাই। চিৎকার আর আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে চারপাশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিমানটি বিধস্ত হওয়ার সময় যে বিকট শব্দ হয় তা কোনো বোমার থেকে কম নয়। প্রথমদিকে ঘটনাস্থলে আগুনের তীব্রতায় কেউ কাছে পৌঁছাতে পারেনি।