উৎসবে (Durga Puja) জঙ্গি হামলার (Terror Attack alert) সতর্কতা জারি হয়েছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। ঐতিহ্যবাহী ঢাকেশ্বরী মন্দির সহ সব পূজা মণ্ডপ ও মন্দির কমিটিকে বিশেষ সতর্ক থাকতে বললেন ঢাকা (Dhaka) মহানগর পুলিশ কমিশনার মহম্মদ শফিকুল ইসলাম। বাংলাদেশে এবার শারদোতসবের আগেই এমন বার্তায় ছড়াল চাঞ্চল্য।
- দুর্গা উৎসবে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা।
- বিভিন্ন দুর্গা পূজামণ্ডপে হামলার জন্য তৈরি জঙ্গিরা।
- অন্তত ৫০ জন জঙ্গি যুবক এই হামলা করতে পারে।
- দুর্গাপূজার আগেই এমন বার্তায় আশঙ্কা বাংলাদেশে
খবরটি বিস্তারিত পড়ুন
বাংলাদেশে সব পূজা মণ্ডপে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উতসব শুরুর আগে বৃহষ্পতিবার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখেন তিনি। সেখানেই সাংবাদিক সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ করতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। কারণ, বেশ কিছু পূজা মণ্ডপ ঝুঁকিতে রয়েছে।
ঢাকার পুলিশ কমিশনার বলেন, ৫০ জন যুবক জঙ্গি হামলার উদ্দেশ্যে বাড়ি ছেড়েছে। তারা বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে হামলার জন্য ট্রেনিং নিয়েছে। গোপন সূত্রে ঢাকা পুলিশের কাছে এমন তথ্য এসেছে।
বিবিসি জানাচ্ছে, গতবছর বাংলাদেশে দুর্গাপূজা ছিল ভয়াবহ। সাম্প্রদায়িক হামলায় রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। কুমিল্লায় এক পূজা মণ্ডপে কোরান রেখে ধর্মীয় উত্তেজনা তৈরি করা হয়। এর জেরে বাংলাদেশ জুড়ে সংখ্যালঘু হিন্দুরা আক্রান্ত হন। হামলায় কয়েকজনের মৃত্যু হয়। পুলিশের গুলিতে হামলাকারী কয়েকজন মারা যায়।
কুমিল্লার সেই ঘটনার পর এবার বাংলাদেশের সব পূজা মণ্ডপে থাকছে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা। এমনই জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, সব পূজা কমিটিকে নিজেদের স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। আর সব পূজা মল্ডপে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা।
ঢাকার পুলিশ কমিশনার বলেছেন, এবার ঢাকাতেই ২৩৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মন্দির, ধানমন্ডি পূজামণ্ডপ ও বনানী সার্বজনীন পূজামণ্ডপে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
তিনি বলেন ঢাকায় ৫টা বৃহত্তর মন্দির রয়েছে। সেগুলো হলো- সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, রমনা কালী মন্দির, উত্তরা সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, বসুন্ধরা সার্বজনীন পূজামণ্ডপ এবং কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের পূজামণ্ডপ। এগুলোতেও সিসিটিভিসহ আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। অন্যান্য সব মণ্ডপেও থাকবে নিরাপত্তা।