চট্টগ্রাম হাত ছাড়া হবে সেভেন সিস্টার লোভী বাংলাদেশের!

রূপকথার গল্প সাত ভাই চম্পা। ফুল হয়ে থাকা সাত ভাইকে উদ্ধারে বোন পারুলের গল্প। আর বাস্তবে সাত বোন আর এক ভাইয়ের কাহিনী। এরা কেউই বায়োলজিক্যাল…

Chittagong political conflict

রূপকথার গল্প সাত ভাই চম্পা। ফুল হয়ে থাকা সাত ভাইকে উদ্ধারে বোন পারুলের গল্প। আর বাস্তবে সাত বোন আর এক ভাইয়ের কাহিনী। এরা কেউই বায়োলজিক্যাল ভাই-বোন নয়। সবই ভৌগলিক ক্ষেত্র। উত্তর পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য অর্থাৎ সেভেন সিস্টার্স (Seven Sisters)। আর পার্বত্য চট্টগ্রাম (Chittagong)।

কয়েক দিন ধরে অশান্ত বাংলাদেশের এই পাহাড়ি এলাকা। সে দেশের সংখ্যালঘু এবং চাকমা জনজাতির বাসিন্দারা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। তাঁদের দাবি পৃথক রাষ্ট্র। নাম জুম্মাল্যান্ড। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়েই নয়া রাষ্ট্রের ভৌগলিক সীমানার নকশা এঁকেছে বিদ্রোহীরা। জাতীয় পতাকাও তৈরি হয়েছে। সেই নকশা আবার ইজরায়েলের জাতীয় পতাকার মতো।

   

ইসলামিক রাষ্ট্রে ইজরায়েলের আদলে পতাকা উড়ছে। পরিস্থিতি যে কতটা জটিল তা সহজেই অনুমেয়। তবে এপার বাংলার গোর্খাল্যান্ডের মতোই ওপারের দীর্ঘদিনের মাথা ব্যথা জুম্মাল্যান্ড। বছর পাঁচেক আগেও এ নিয়ে জোরাল আন্দোলন হয়। তখন বাংলাদেশের মসনদে শেখ হাসিনা। যিনি এখন দেশত্যাগী। আওয়ামী লিগ ক্ষমতা হারানোর পর ফের জোরাল হচ্ছে জুম্মাল্যান্ডের দাবি। বিক্ষোভ বাড়ছে। রক্তও ঝড়ছে।

এই আন্দোলনের সামনের সারিতে রয়েছেন চাকমা জনজাতির লোকজন। ইতিহাসবিদদের একাংশের মতে, পার্বত্য চট্টগ্রাম, বর্তমান উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু অংশ এবং মায়ানমারের আরাকান নিয়ে ছিল চাকমা সাম্রাজ্য। সেই চাকমাদের একটা বড় অংশ এখন চট্টগ্রামে থাকেন। ভারতের ত্রিপুরা, মেঘালয় ও মিজোরামেও চাকমা জনজাতির আধিক্য দেখা যায়। এই চাকমাদের নেতৃত্বেই চলছে পৃথক জুম্মাল্যান্ডের আন্দোলন। সরাসরি বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আন্দোলন‌।

মাস দেড়েক ধরে এই বাংলাদেশিদের একাংশের নজর ভারতের সাত রাজ্যের দিকে। সেভেন সিস্টার্স দখলের হুংকার শোনা যায়। শিলিগুড়ি করিডর দখল করে উত্তর-পূর্বের ভারতকে দেশের মূল ভুখন্ড থেকে আলাদা করারও হুংকার দিতে থাকেন অনেকে। সেভেন সিস্টার্স নিয়ে বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ ইউনূসও দিল্লিকে হুঁশিয়ারি দেন। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি পুরোপুরি আলাদা। সেভেন সিস্টার্স লোভী বাংলাদেশ নিজেদের জমিই হারাতে চলেছে। এ যেন সাত বোন আর জুম্মা।

বাংলাদেশের এই জটিল পরিস্থিতি নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না ভারত। সোশাল মিডিয়ায় ট্রেলার বন্যা বইছে। বাংলাদেশিদের একাংশের দাবি চট্টগ্রামে অশান্তির পিছনে রয়েছে ভারত। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার মদতেই উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি দিল্লির সাউথ ব্লক।