মৌলবাদীদের অত্যাচারে ভারতের অংশ হতে চাইছে পার্বত্য চট্টগ্রাম!

সুদীপ্ত বিশ্বাস, কলকাতা: বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে মৌলবাদীদের অত্যাচার অব্যাহত (Communal Tension)। খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় ইসলামপন্থীদের হাতে বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছেন বৌদ্ধ সংখ্যালঘুরা এবং তাদের মদত…

Communal Tension in bangladesh

সুদীপ্ত বিশ্বাস, কলকাতা: বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে মৌলবাদীদের অত্যাচার অব্যাহত (Communal Tension)। খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় ইসলামপন্থীদের হাতে বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছেন বৌদ্ধ সংখ্যালঘুরা এবং তাদের মদত দিচ্ছে সেনাবাহিনী। সাম্প্রতিক ঘটনায় এই উপজেলার কয়েকজন বৌদ্ধকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, আর কয়েকজন গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

Advertisements

এমত অবস্থায় ভারতের কাছে আশ্রয় চাইল পার্বত্য চট্টগ্রাম। তারা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন জানিয়েছে যে তারা এই নৃশংস অত্যাচার আর সহ্য করতে পারছে না। তাই তাদের ভারতের অংশ করে নেওয়া হোক। জানাতিয়া জাতির এক নেতা ঘোষণা করেছেন যে যতদিন না তাদের ভারতের অংশ হিসেবে ঘোষণা করা হবে ততদিন এই পার্বত্য অঞ্চল থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করতে হবে।

   

এই সংক্রান্ত আরও খবর: ফের কট্টরপন্থীদের আক্রমণে গৃহবন্দি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু অধ্যাপক 

তারা আরও জানিয়েছে যতদিন না পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ হিসেবে ঘোষণা না করা হচ্ছে ততদিন এই জনহত্যা বন্ধ করতে হবে। এই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা (কমিউনাল টেনশন) চট্টগ্রাম পার্বত্য চট্টগ্রামের (সিএইটি) অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। চাকমা, মারমা এবং ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রত্যেকদিন অত্যাচারিত হচ্ছে । এই ঘটনায় ত্রিপুরার রাজা প্রদ্যুৎ বিক্রম মানিক্য দেববর্মা গতকাল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছেন বলেছেন, “যখন আমরা বিভিন্ন দলের নামে রাজনৈতিকভাবে একে অপরের সঙ্গে লড়াই করছি, তখন ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী র‍্যাডিক্যাল ফান্ডামেন্টালিস্টদের জমি দখল করতে সাহায্য করে খাগড়াছড়ির এলাকায় ৪ জন আদিবাসীকে হত্যা করেছে।

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা এবং সদরে অন্তত ৪ জন আদিবাসী নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে চাকমা সম্প্রদায়ের সদস্যরা বেশি। বাংলাদেশ বৌদ্ধ হিন্দু খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের তথ্য অনুসারে, এই হামলায় শতাধিক লোক আহত হয়েছে এবং বৌদ্ধ মন্দিরে ভাঙচুর, মূর্তি ভাঙা এবং দানপাত্র লুট হয়েছে। একজন বাঙালি সেটলার মামুনের মৃত্যুর প্রতিশোধ নামে শুরু হওয়া এই হিংসা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে।

এই সংক্রান্ত আরও খবর:  ধেয়ে আসছে দুর্যোগ! সপ্তমীর সন্ধ্যায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে ভিজল তিলোত্তমা

আদিবাসীরা বলছেন, সেনাবাহিনী মৌলবাদীদের দখলদারিত্বে সহায়তা করেছে সেই কারণে সংখ্যালঘুরা আরও বেশি অসহায় বোধ করছে। ত্রিপুরা রাজা প্রদ্যুৎ বিক্রম মানিক্য দেববর্মা, যিনি টিপ্রা মোথা পার্টির চেয়ারম্যানও বটে, তাঁর এই সতর্কবাণী ত্রিপুরার আদিবাসীদের মধ্যে নতুন উদ্বেগ জাগিয়েছে। তিনি বলেছেন, এই ঘটনাগুলি ত্রিপুরা, মণিপুরি বা বাঙালি সকল সম্প্রদায়ের জন্য সতর্কতার সংকেত।