বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বন্দি সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস (Chinmoy Krishna Das) ওরফে চিন্ময় প্রভুর বিপুল বেআইনি টাকার হদিস মিলেছে। তার বিরুদ্ধে চলছে আর্থিক তদন্ত। একইসঙ্গে ইসকন বাংলাদেশ (ISKCON Bangladesh) শাখার কোটি কোটি টাকার হদিস মিলেছে। চিন্ময়কৃষ্ণর বিরুদ্ধে ধর্মীয় উন্নয়নমূলক ভাষণ দেওয়া, জাতীয় পতাকার অবমাননার মামলা চলছে। বাংলাদেশি সন্ন্যাসীর মুক্তির দাবিতে ভারতের একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিক্ষোভ করে। সেই বিক্ষোভ থেকে আগরতলায় বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলার জের ধরে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে কূটনৈতিক সংঘাত চলেছে। (chinmoy krishna illegal funds)
২০৩টি ব্যাংকে প্রায় ২৪০ কোটি টাকার সন্ধান chinmoy krishna illegal funds
দৈনিক ‘ইত্তেফাক’ জানিয়েছে “ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন) ও চিন্ময় দাসের ২০৩টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ২৪০ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এর মধ্যে ইসকনের নামে ২০২টি অ্যাকাউন্টে ২৩৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে গত ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত উত্তোলন করা হয়েছে ২২৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ব্যাংক হিসাবগুলোতে জমা রয়েছে ১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। পাশাপাশি ইসকনের বিতর্কিত নেতা চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কুমার দাসের নামে তিন কোটি ৯২ লাখ টাকা জমা হয়েছিল। যার প্রায় পুরো অর্থই উত্তোলন করা হয়েছে।”
এত বিপুল টাকা কী করে হল? chinmoy krishna illegal funds
নিজেকে সন্ন্যাসী দাবি করা চিন্ময়কৃষ্ণর এত বিপুল টাকা কী করে হল? কেন তিনি বিপুল টাকার লেনদেন করেছেন এই প্রশ্নে সরগরম বাংলাদেশ। তবে তার আইনজীবীর দাবি, ষড়যন্ত্র চলেছে।চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের পর থেকে বাংলাদেশে কয়েকটি স্থানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা আক্রান্ত। তবে বাংলাদেশের আরও বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন চিন্ময়কৃষ্ণর ভূমিকা নিয়ে সরব।
লেনদেন ৩০ দিন স্থগিতের নির্দেশ chinmoy krishna illegal funds
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যবাহী সংবাদপত্র ‘ইত্তেফাক’ প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, “গত ৩০ নভেম্বর চিন্ময় কুমার দাসসহ ইসকনের ১৭ জনের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন ৩০ দিন স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছিল বিএফআইইউ। ওই দিনই বিএফআইইউ এসব ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিতের এ নির্দেশনা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়েছিল। যাদের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করা হয়, তারা হলেন- চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, কার্তিক চন্দ্র দে, অনিক পাল, সরোজ রায়, সুশান্ত দাস, বিশ্ব কুমার সিংহ, চণ্ডীদাস বালা, জয়দেব কর্মকার, লিপি রানী কর্মকার, সুধামা গৌর দাস, লক্ষণ কান্তি দাশ, প্রিয়তোষ দাশ, রূপন দাস, রূপন কুমার ধর, আশীষ পুরোহিত, জগদীশ চন্দ্র অধিকারী ও সজল দাস।”
বিবিসি জানিয়েছে, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরিক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ইসকন বাংলাদেশের ১৭ সদস্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। চিন্ময়কৃষ্ণর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার তদন্ত চলছে।
জাতীয় পতাকার অবমাননায় অভিযুক্ত চিন্ময়কৃষ্ণ chinmoy krishna illegal funds
বাংলাদেশে গণবিক্ষোভে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন। গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের লালদিঘী মাঠে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে জনসভা করেছিলেন চিন্ময়কৃষ্ণ। অভিযোগ, সেই সমাবেশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার উপর ধর্মীয় পতাকা রাখা হয়েছিল। ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় চিন্ময়কৃষ্ণসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। ২৫ নভেম্বর বিকালে ঢাকার বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হয়। আদালতে বিক্ষোভ দেখান চিন্ময়কৃষ্ণ অনুগামীরা। বিক্ষোভ থেকে হামলা ছড়িয়েছিল। সরকারি আইনজীবী সাইফুলকে আদালতের সামনে কুপিয়ে খুন করা হয়।
Bangladesh: Chinmoy Krishna Das, a monk imprisoned in Bangladesh for sedition, is under financial investigation. ISKCON Bangladesh’s accounts reveal illegal funds. Protests in India demand his release, leading to diplomatic tensions between Dhaka and New Delhi.