বাংলাদেশের (Bangladesh) বিতর্কিত ধর্মীয় সংগঠক চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা চলছে। তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশের পরেই বিক্ষোভকারীরা আদালত ঘেরাও করেন। চিন্ময়কৃষ্ণকে নিয়ে যাওয়া প্রিজনভ্যান আটকে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভরতদের ওপর লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ বাহিনী। ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।
চিন্ময়কৃষ্ণ ইসকন বাংলাদেশ শাখার সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন। তিনি ইসকন থেকে বহিষ্কৃত। পরে তিনি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত হন।
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ঢাকায় থেকে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে। চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে আদালতে পাঠানোর আদেশ দেন। এই আদেশের পরপরই এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করেন চিন্ময়ের ভক্ত-অনুসারীরা।
উল্লেখ্য গত ৫ অগাস্ট রক্তাক্ত গণবিক্ষোভে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আট দফা দাবিতে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশসহ নানান কর্মসূচি পালন করে আসছে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট।
অভিযোগ ২৫ আগস্ট চট্টগ্রামে তেমনই এক সমাবেশে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহের এই মামলা করেন প্রাক্তন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। জানা গেছে, এই মামলায় জেরা করতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময়কৃষ্ণকে।
বিবিসির খবর, সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আটকের বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়ে এবার বিবৃতি দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ISKCON)। যদিও এই নেতা ইসকন থেকে বহিষ্কৃত বলেই জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) তাদের এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদের সাথে ইসকনের যুক্ত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং অত্যন্ত আপত্তিজনক।বলা হয়, “ইসকন ভারত সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছে যেন তারা অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনা করে এই বিষয়টি স্পষ্ট করে যে আমরা একটি শান্তিপ্রিয় ভক্তি আন্দোলন।” ভারতোর বিদেশমন্ত্রক উদ্বেগ জানিয়েছে।