জিয়াকে চিনে চিকিৎসার প্রস্তাব চিনা রাষ্ট্রদূতের, ভারত-বিরোধী শক্তির ঘাঁটি হচ্ছে বাংলাদেশ?

পাকিস্তানের (Pakistan) পর এবার চিন (China)। বাংলাদেশে (Bangladesh) চলমান অশান্তির আবহের মধ্যেই বিরোধী বিএনপি (BNP) দলনেত্রী খালেদা জিয়ার (khaleda Zia) সঙ্গে বৈঠক করলেন ঢাকাস্থিত চিনের…

Chinese envoys meet with BNP leader Khaleda Zia at her residence in Dhaka on wednesday

পাকিস্তানের (Pakistan) পর এবার চিন (China)। বাংলাদেশে (Bangladesh) চলমান অশান্তির আবহের মধ্যেই বিরোধী বিএনপি (BNP) দলনেত্রী খালেদা জিয়ার (khaleda Zia) সঙ্গে বৈঠক করলেন ঢাকাস্থিত চিনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বুধবার সন্ধ্যেয় ঢাকার গুলশন এলাকায় বিএনপি নেত্রীর বাসভবনে যান ইয়াও ওয়েন। প্রায় ২০ মিনিট তাঁদের মধ্যে বৈঠক চলে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রধান সায়রুল কবীর খান। জানা গিয়েছে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার পাশাপাশি চিনে নিয়ে তাঁকে চিকিৎসা করার আহ্বান জানিয়েছেন ইয়াও ওয়েন।

এমনকী তাঁর সমস্ত চিকিৎসার খরচ চিনের কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে বহন করা হবে বলেও প্রস্তাব দেন চিনের রাষ্ট্রদূত। তবে খালেদা জিয়া সেই ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন কিনা তা জানা যায়নি। একদিনের মধ্যেই পাকিস্তান ও চিনের রাষ্ট্রদূতের এই ‘অতি সক্রিয়’ সাক্ষাৎ উদ্বেগ বাড়িয়েছে ভারতের। ফলে গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে নয়াদিল্লি।

   

কারণ পরিবর্তিত বাংলাদেশে এই চলমান হিংসার আবহে চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে বিএনপির সখ্যতা গলার কাঁটা হয়ে উঠছে সাউথ ব্লকের কাছে। সুতরাং তার জন্য পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও চিন্তা ভাবনা করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তবে সেটা কূটনৈতিক না অর্থনৈতিক এখনও স্পষ্ট করেনি নয়াদিল্লি। তবে কূটনৈতিক পথে সমস্য মোকাবিলার জন্যই ভারত পা বাড়াবে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। কারণ অন্যথা ছোট্ট ও দুর্বল রাষ্ট্র বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে ভারত চায়না বলেই আশঙ্কা কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

অতীতে বিএনপির শাসন কালে পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে জিয়ার সখ্যতায় ভালো অভিজ্ঞতা নেই ভারতের। উত্তর-পূর্বে বিচ্ছিন্নতাবাদে মদত দেওয়া, অনুপ চেটিয়ার মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে বাংলাদেশে আশ্রয়, অস্ত্র পাঠানো থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ পাকিস্তানের মদতেই করে এসেছে তৎকালীন বিএনপি সরকার। সুতরাং গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে নয়াদিল্লি (New Delhi)। সূত্রের খবর, হাসিনার পতনের পর ঢাকাতে সক্রিয়তা বাড়িয়েছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই।

তবে এক্ষেত্রে চলমান অস্থিরতার জের কিংবা নির্বাচন পরবর্তী বাংলাদেশের সঙ্গে চিন-পাকিস্তানের ঘনিষ্টতা কোনদিকে মোড় নেয়। সেদিকে তাকিয়ে রয়ে সাউথব্লক। তা যদি ২০০০-২০০৮ তৎকালীন সময়কাল বিএনপি যুগের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে ‘কড়া পদক্ষেপ’ নিয়ে হয়তো পিছুপা হবেনা নয়াদিল্লি। 

Bangladesh: Amid the ongoing unrest in Bangladesh, China’s Ambassador to Bangladesh, Yao Wen, met with opposition BNP leader Khaleda Zia on Wednesday evening. The meeting took place at Zia’s residence in Dhaka’s Gulshan area and lasted around 20 minutes, as confirmed by BNP’s media cell chief, Sayrul Kabir Khan. During the discussion, Yao Wen inquired about Khaleda Zia’s health and extended an invitation for her to seek medical treatment in China. https://ekolkata24.com/.