ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচন: ইউনূস

ছাব্বিশের ভোটে গরম হবে দুই বাংলা। বিশেষ সূত্র মারফৎ Kolkata24x7 “দেশহীন শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয়ের এক বছর, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে?” এই শিরোনামের সংবাদে জানিয়েছিল আগামী বছর…

Bangladesh

ছাব্বিশের ভোটে গরম হবে দুই বাংলা। বিশেষ সূত্র মারফৎ Kolkata24x7 “দেশহীন শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয়ের এক বছর, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে?” এই শিরোনামের সংবাদে জানিয়েছিল আগামী বছর (২০২৬) ফেব্রুয়ারি মাসে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পদ্মাপারের বাংলায় (Bangladesh) নির্বাচন হতে যাচ্ছে। অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন ফেব্রুয়ারিতে হবে নির্বাচন।

উল্লেখ্য, গত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে জয়ী শেখ হাসিনা গণঅভ্যুত্থানে দেশত্যাগী হয়ে ভারতে আশ্রিত। তিনি পরপর তিনবার সরকার গড়েছিলেন। প্রতিটি নির্বাচন ছিল আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সমালোচিত।

   

শেখ হাসিনার শাসন স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট বলে চিহ্নিত করে গনতান্ত্রিক পথে যাবে বাংলাদেশ এমনই বলেছেন নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ই়উনূস। তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠাবেন যেন নির্বাচন কমিশন আগামী রমজানের আগে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

‘জুলাই গণঅভুত্থান দিবস’ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “ফেব্রুয়ারি বেশি দূরে নয়। নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি নিতে নিতেই ভোটের দিন এসে পড়বে। বহু বছর আমরা কেউ ভোট দিতে পারিনি। এবার আমরা সবাই ভোট দেবো। কেউ বাদ যাবে না। সবাই যেন বলতে পারি নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে দেশকে রওনা করার জন্য আমি আমার ভোটটা দিয়েছিলাম “

Advertisements

তিনি বলেন, “ নির্বাচন আসছে। যদি আপনি আপনার নির্বাচনী এলাকা থেকে দূরে বসবাস করেন তবে এখন থেকে নিয়মিত নির্বাচনি এলাকা পরিদর্শন করুন। যাতে সেরা ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে আপনি প্রস্তুত হতে পারেন।”

বিবিসির খবর, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে দাবি করেন, জাতীয় জীবনে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে, অর্থনীতিতে গতিশীলতা এসেছে, সংকট দূর হয়েছে। তিনি বলেছেন, তারা এখন অন্তর্বর্তী সরকার থেকে একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেওয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছেন।

ইউনূস বলেন, “এবার আমাদের সর্বশেষ দায়িত্ব পালনের পালা। নির্বাচন অনুষ্ঠান। আজ এই মহান দিবসে আপনাদের সামনে এ বক্তব্য রাখার পর থেকেই আমরা আমাদের সর্বশেষ এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে প্রবেশ করব। আমরা এবার একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করব।”