Bangladesh: বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে হনুমান পাচার! উদ্ধার লক্ষাধিক টাকার বন্যপ্রাণী

বেশিদূর ছিল না সীমান্তের চোরা পথ। উল্টোদিকে তৈরি ছিল এজেন্ট। একেবারে শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশের (Bangladesh)  দিক থেকে হনুমান পাচার (hanuman smuggling) রুখল (BGB) বর্ডার গার্ড…

বেশিদূর ছিল না সীমান্তের চোরা পথ। উল্টোদিকে তৈরি ছিল এজেন্ট। একেবারে শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশের (Bangladesh)  দিক থেকে হনুমান পাচার (hanuman smuggling) রুখল (BGB) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। কয়েকটা “মুখপোড়া হনুমান”সহ লক্ষ লক্ষ টাকার বিপুল চেরাই মাল উদ্ধার করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গের দিকে হনুমান পাচারে চাঞ্চল্য।

সম্প্রতি সীমান্তে দৈনন্দিন সামগ্রী পাচার বেডেছে:

   

সাপ, সাপের বিষ, গরু পাচার হয় সীমান্তে। হাঁস-মুরগিসহ গৃহপালিত ও দৈনন্দিন সামগ্রীর বিরাট বিরাট চালান চোরাপথে আনা-নেওয়া হয়। বাংলাদেশ থেকে ভারতের দিকে সোনা পাচার ও ভারত থেকে বাংলাদেশের দিকে কোটি কোটি টাকার মদ-শাড়ি পাচার হয়।

যে ভাবে হচ্ছিল হনুমান পাচার: 
বিবিসি সাতক্ষীরায় ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মহম্মদ আশরাফুল হক পৃথক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান সাতক্ষীরার বৈকারী সীমান্ত এলাকায় ছয়টি বন্যপ্রাণী (মুখপোড়া হনুমান) ভারতে পাচারকালে আটক করা হয়। (smuggling of Hanuman from Bangladesh to India)

বিজিবি জানিয়েছে, সাতক্ষীরার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে বন্যপ্রাণী পাচার করা হবে এমন গোপন সংবাদ এসেছিল। এই খবর পেয়ে সীমান্ত এলাকায়  গোপনে অবস্থান নেয় বিজিবি রক্ষীরা। চোরাকারবারীরা বিজিবির উপস্থিতি বুঝতে পেরে ৬টি হনুমান খাঁচা রাস্তার ওপরে ফেলে পালিয়ে যায়। উদ্ধার করা প্রতিটি হনুমানের মূল্য ৪০ হাজার টাকা হারে সর্বমোট ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। বন দফতরের কাছে হনুমানগুলি পাঠানো হবে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সূত্রে খবর, কালো মুখের হনুমান (মুখপোড়া হনুমান) পাচার অভিনব। এই প্রাণীটি দুই দেশেই বহুল পরিমানে মেলে।

পশ্চিমবঙ্গের লাগোয়া সীমান্তে অভিযান:

বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) জানাচ্ছে, খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্যসহ প্রায় ১১ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল ও ছয়টি হনুমান বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।বাংলাদেশের সাতক্ষীরা লাগোয়া ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের (৩৩ বিজিবি) অধীনস্থ ভোমরা, বৈকারী, কাকডাঙ্গা, মাদরা ও চান্দুরিয়া সীমান্ত এলাকা থেকে এসব ভারতীয় চোরাই পন্য আটক করা হয়।

আরও কয়েকটি অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানার লক্ষীদাড়ী নামক স্থান থেকে ২৪ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল, তিন বোতল ভারতীয় মদ ও ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি আটক করে।  কাকডাঙ্গা সীমান্ত এলাকায় ৩৭ বোতল ভারতীয় মদ ও সাত লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় ওষুধ আটক করা হয়। মাদরা বিওপির পৃথক দুটি বিশেষ আভিযানিক দল কলারোয়া থানার রাজপুর নামক স্থান হতে ১৫ বোতল ভারতীয় মদ ও দুই লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ওষুধ আটক করা হয়। চান্দুরিয়া বিওপির বিশেষ দল গোয়ালপাড়া নামক স্থান হতে আট বোতল ভারতীয় মদ আটক করে। যার সর্বমোট সিজার মূল্য ১০ লাখ ৪৪ হাজার ১০০ টাকা।

বাংলাদেশ লাগোয়া অসম  ও ত্রিপুরার দিক থেকে বিপুল টাকার শাড়ি পাচার:

বিজিবি আরও জানিয়েছে, সিলেটের সীমান্তে ভারতের অসমের দিক থেকে আসা  ৮৪ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের বিপুল পরিমান ভারতীয় চিনি, প্রসাধনী সামগ্রী, মাদকদ্রব্য, গরু-মহিষ উদ্ধার হয়েছে।  বিপুল পরিমান বাংলাদেশি রসুন, শিং মাছ, চোরাচালানে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী নৌকা ভারত সীমান্তের কাছে মিলেছে।

BGB stops smuggling of Hanuman from Bangladesh to India