বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবেদন ‘অতিরঞ্জিত’! দাবি বিজিবি প্রধানের

ঢাকা: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর অনেকটাই ‘অতিরঞ্জিত’৷ সরকার সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ করছে৷ বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিজিবি) প্রধান মেজর জেনারেল…

BGB chief said Reports of attacks on minorities in Bangladesh exaggerated

ঢাকা: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর অনেকটাই ‘অতিরঞ্জিত’৷ সরকার সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ করছে৷ বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিজিবি) প্রধান মেজর জেনারেল মহম্মদ আশরফুজ্জামান সিদ্দিকী৷ 

ভারতের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) প্রধান দলজিৎ সিং চৌধুরীর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সিদ্দিকী জানান, “সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবেদনগুলো অনেক বাড়িয়ে বলা হয়েছে। কিছু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ আমাদের কাছে সাহায্য চেয়েছিল, কিন্তু বিজিবি তাদেরকে আশ্বস্ত করেছে যে সরকার তাদের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।”

   

এদিন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার  নিয়ে আলোচনা হয়। সিদ্দিকী বলেন, “বিএসএফের সঙ্গে সীমান্তে কিছু জায়গায় সীমান্তে বেরা দেওয়ার প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং আশা করি এই সমস্যাগুলো শিগগিরই সমাধান হবে।” তিনি জানান, এই বিষয়ে যৌথ পরিদর্শনের জন্য তারা আবেদন করেছেন। উল্লেখ্য, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ৪,০৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে৷  যা পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মেঘালয়, অসম ও মিজোরাম রাজ্য দিয়ে বিস্তৃত৷ 

এছাড়া, বিএসএফ প্রধান দলজিৎ সিং চৌধুরী সীমান্তে অনুপ্রবেশ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, “২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সীমান্তে অনুপ্রবেশ ব্যাপকভাবে কমেছে।”

বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি পুনর্বিবেচনার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি, জানান সিদ্দিকী। এটি ছিল ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে ৫৫তম দ্বি-বার্ষিক বৈঠক। সিদ্দিকী জানান, ১৯৭৫ সালে স্বাক্ষরিত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি পুনর্বিবেচনার বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।’’ এটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ছিল না বলেনও জানান তিনি।