Bangladesh news: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনে ‘জিরো টলারেন্সে’র বার্তা! গ্রেফতারের নির্দেশ ইউনূস সরকারের

ঢাকা: হাসিনা জমানায় ইতি পরতেই বদলে গিয়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি৷ মুখে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বুলি আওড়ালেও, বাংলাদেশে দিন দিন বেড়ে চলেছে সংখ্যালঘু নির্যাতন৷ যার জন্য আন্তর্জাতিক…

Bangladesh news: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনে ‘জিরো টলারেন্সে’র বার্তা! গ্রেফতারের নির্দেশ ইউনূস সরকারের

ঢাকা: হাসিনা জমানায় ইতি পরতেই বদলে গিয়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি৷ মুখে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বুলি আওড়ালেও, বাংলাদেশে দিন দিন বেড়ে চলেছে সংখ্যালঘু নির্যাতন৷ যার জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে মহম্মদ ইউনূস সরকারকে৷ এবার নড়েচড়ে বসল অন্তর্বর্তী সরকার৷ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা মনে করিয়ে দিল মহম্মদ ইউনূস৷ সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ এলেই দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের করতে হবে বলেও পুলিশকে নির্দেশ দিলেন তিনি। হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করল বাংলাদেশ সরকার৷ (bd govt enforces zero tolerance on communal attacks)

সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বরদাস্ত নয় bd govt enforces zero tolerance on communal attacks

অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার শনিবার জানান, সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলছে সরকার। হামলা, হিংসার ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, ধর্ম-বর্ণ-জাতি-লিঙ্গ নির্বিশেষে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করাই ইউনূস সরকারের লক্ষ্য। সাম্প্রদায়িক হিংসা কোনও ভাবেই বরদাস্ত হবে না৷ অভিযোগ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও চালু করেছে। সংখ্যালঘু নেতাদের সঙ্গেও পুলিশ-প্রশাসন যোগাযোগ রেখে চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে কোনও অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনীও মোতায়েন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ 

Advertisements

অত্যাচারের হিসাব দিল পরিষদ bd govt enforces zero tolerance on communal attacks

গত অগাস্ট মাসে বাংলাদেশে গণ অভ্যুত্থানের পর থেকেই সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের দাবি, সব মিলিয়ে দু’হাজারের বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুধু সংখ্যালঘুদের উপর হামলাই নয়, তাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ১,৭৬৯টি ঘটনা ঘটেছে। পরিষদ যে তালিকা তৈরি করেছে, তা হাতে এসেছে পুলিশের৷