Bangladesh: নুপূর শর্মাকে সমর্থনের অভিযোগ, বাংলাদেশি অধ্যাপক লাঞ্ছনা নিয়ে প্রশাসনে উদ্বেগ

ভারতের বিতর্কিত হিন্দুত্ববাদী নেত্রী নূপুর শর্মা সম্প্রতি দেশটির একটি টিভি চ্যানেলে হজরত মহম্মদকে নিয়ে মন্তব্য করেন। তাঁর মন্তব্যের জেরে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ছড়ায়। ভারতেও…

ভারতের বিতর্কিত হিন্দুত্ববাদী নেত্রী নূপুর শর্মা সম্প্রতি দেশটির একটি টিভি চ্যানেলে হজরত মহম্মদকে নিয়ে মন্তব্য করেন। তাঁর মন্তব্যের জেরে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ছড়ায়। ভারতেও বিভিন্ন রাজ্যে ও পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষোভ ছিল হিংসাত্মক। বিতর্কিত নেত্রী নূপুর শর্মাকে সমর্থনের অভিযোগে বাংলাদেশে (Bangladesh) ছাত্র লাঞ্ছিত। এক অধ্যাপককেও লাঞ্ছিত করায় চলছে বিতর্ক। উত্তেজনা কমাতে ততপর প্রশাসন।

এই ঘটনা নড়াইলের। এখানকার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস ও কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র রাহুল দেব কে জুতোর মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। এর জেরে নড়াইল সহ বাংলাদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘু হিন্দুরা আতঙ্কিত। তাঁদের আশঙ্কা, যে কোনও সময় বড়সড় হামলা হতে পারে। কারণ, নূপুর শর্মার করা মন্তব্যটি ধর্মীয় স্পর্শকাতর।

   

আরও পড়ুন: ধর্মীয় উস্কানি ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার মহ: জুবের

জানা গিয়েছে ওই অধ্যক্ষ ও ছাত্রকে জুতোর মালা পরানো হয়েছিল গত ১৮ জুন। কিন্তু সেই ছবি হঠাৎ ফেসবুকে ভাইরাল হতে শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন নড়াইল জেলা প্রশাসন।

অধ্যক্ষ ও অভিযুক্ত ছাত্রকে জুতোর মালা গলায় পরিয়ে দেওয়ার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এর পিছনে কারা তা জানকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জানিয়েছেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক মহম্মদ হাবিবুর রহমান।  তিনি জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে জেলে পাঠানো হয়েছে ওই ছাত্রকে।

পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রনে থাকে তার জন্য নড়াইল জেলা প্রশাসন সোমবার এলাকার বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসার ইমাম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা বসে।  জেলা শাসক হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়।

ভারতের হিন্দুত্ববাদী নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্য নিয়ে গত ১৮ জুন নড়াইলে হিংসাত্মক পরিবেশ ছিল। একাধিক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল।  নড়াইল জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার দিন আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল সবাইকে নিরাপদে বাঁচিয়ে আনা। আমরা পুলিশের সামনে অধ্যক্ষের গলায় মালা দেওয়ার বিষয়টি দেখিনি। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

লাঞ্ছিত অধ্যক্ষের জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজে আছে ক্ষোভ। অনেক অধ্যাপক এমন ঘটনা মানতে পারছেন না। এদিকে অধ্যক্ষের পরিবার আতঙ্কিত। একইভাবে আতঙ্কে আছে ওই ছাত্রের পরিবার।