বেলা গড়াতেই বাংলাদেশ (Bangladesh) গরম। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার দিবস পালনে মরিয়া ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। দলটির নেত্রী তথা পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ভারত থেকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রকাশ্য সমাবেশের। ক্ষমতা হারানোর তিন মাস পরে রবিবার (১০ নভেম্বর) প্রথম প্রকাশ্য সমাবেশ করবে হাসিনার দল। তাদের কর্মসূচি রুখতে ঢাকা ও বাংলাদেশের সর্বত্র সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করল অন্তর্বর্তী সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ই়উনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিয়ে লিখেছেন, তারা আজ কোনও জমায়েত বা মিছিল করার চেষ্টা করলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কঠোর অবস্থানের মুখোমুখি হতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ১৯১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।
পড়ুন: Bangladesh: দেশত্যাগী হাসিনার নির্দেশে প্রথম প্রকাশ্য সমাবেশ, রক্তাক্ত হবে বাংলাদেশ?
আওয়ামী লীগের বার্তা “তালিকা প্রস্তুত আছে।যেই সেনা পুলিশ কর্মকর্তা, গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগের মিছিলে বাধা দেবেন, তাদের তালিকা জাতিসংঘ (রাষ্ট্রসংঘ)সহ, সব মানবাধিকার সংস্থা ও রাষ্ট্রের কাছে প্রেরণ করা হবে। নিষেধাজ্ঞার রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে না। তবে বাধ্য করবেন না।”
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট গণবিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সেভাবে প্রকাশ্যে কোনও কর্মসূচি পালন করছে না। তবে রবিবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার দিবস উপলক্ষে ঢাকার গুলিস্তানে মিছিল করার আহ্বান জানিয়েছে দলটি। আওয়ামী লীগের এই কর্মসূচিকে প্রতিহতের ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একই জায়গায় তারা সমাবেশ করবে বলে জানায়। তাদের সমর্থনকারী অন্তর্বর্তী সরকার সেনা নামিয়ে আওয়ামী লীগকে রুখতে বার্তা দিল।
ঐতিহাসিক গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার দিবস:
১০ নভেম্বর বাংলাদেশে “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার দিবস” পালিত হয়। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে ‘স্বৈরাচারী ও সামরিক’ শাসন চালানোর অভিযোগ এনে সমাবেশ করেছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের গুলিতে নিহত হন নূর হোসেন। তিনি দেশে লিখে রেখেছিলেন ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’। দিনটি পালন করতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ মরিয়া। যদিও তাদের বিরুদ্ধেই স্বৈরাচার শাসন চালানোর অভিযোগ উঠেছে।