জনতার বিক্ষোভে বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রিত। তিনি (Sheikh Hasina) ভারত সরকারের বিশেষ কড়া নিরাপত্তায় আছেন। আর বাংলাদেশে দাবি উঠেছে হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে গণহত্যায় জড়িত থাকার মামলায় বিচার করে ফাঁসি দিতে হবে। বাংলাদেশে চলমান অন্তর্বর্তী সরকারও শেখ হাসিনাকে ফেরৎ আনতে কূটনৈতিক কৌশল খাটাচ্ছে। হাসিনাকে ঘিরে ঢাকা-নয়াদিল্লির দড়ি টানাটানি চলছে। এই অবস্থায় ফের ভারতের কাছে গোঁসা দেখাল বাংলাদেশ।
ভারত সরকারের আমন্ত্রণে বিমান মহড়ায় কোনও বিমান পাঠাচ্ছে না বাংলাদেশ। রাজস্থানের যোধপুরে বিভিন্ন দেশের বিমান মহড়ার বাৎসরিক কার্যক্রম ‘তরঙ্গ শক্তি’-তে অংশ নিল না বাংলাদেশ।
গত ২৯ আগস্ট শুরু হওয়া তরঙ্গ শক্তি মহড়া চলবে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ভারতে দুই দফায় বিমান মহড়া তরঙ্গ শক্তি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম দফা হয়েছে গত ৬ আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত। তাতে অংশ নেয় বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশ আর এই মহড়ায় যোগ দেবে না বলে নয়াদিল্লিকে জানিয়ে দিয়েছে।
মহড়া শুরুর সময়ে বাংলাদেশের ক্ষমতায় ছিলেন শেখ হাসিনা। তখন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী মহড়ায় অংশ নেয়। এর মাঝে রক্তাক্ত গণবিক্ষোভে শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারানোয় পরিস্থিতি আমূল পাল্টে গেছে। বর্তমানে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেত়ৃত্বে চলা অন্তর্বর্তী সরকার ভারতে চলা বিমান মহড়ায় অংশ নিতে চাইল না।
The Print জানাচ্ছে, ভারতের প্রথম বড় বহুপাক্ষিক আন্তর্জাতিক বিমান মহড়া ‘তরঙ্গ শক্তি’ এর দ্বিতীয় পর্বের জন্য নিজেদের সি-১৩০ পরিবহন বিমান পাঠানোর সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেছে ঢাকা। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সি-১৩০ পণ্যবাহী বিমানের ওই মহড়ায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। মহড়ায় অংশ না নিলেও পর্যবেক্ষক হিসেবে কয়েকজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাকে ভারতে পাঠাবে বাংলাদেশ।
তরঙ্গ শক্তি মহড়ায় বাংলাদেশ অংশ না নেওয়ায় শ্রীলঙ্কা দুটি বি-২০০ সুপার কিং সামুদ্রিক নজরদারি বিমান নিয়ে অংশগ্রহণ করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, গ্রিস, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (ইউএই), জাপানসহ অন্যান্য কয়েকটি দেশ ভারতে এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।