মোদীর নিরাপত্তায় আছেন হাসিনা, বাংলাদেশ চাইবে মোস্ট ওয়ান্টেড ‘গণহত্যাকারী’কে

বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ‘পলাতক’ শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) আছেন ভারতে। তিনি ভারত সরকারের আশ্রিতা। তাঁকে ভারত সরকার বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছে। আর বাংলাদেশে…

Bangladesh will seek the return of Sheikh Hasina accused of genocide from the Indian government

বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ‘পলাতক’ শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) আছেন ভারতে। তিনি ভারত সরকারের আশ্রিতা। তাঁকে ভারত সরকার বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছে। আর বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে রাষ্ট্রসংঘ নজরদারিতে সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলন দমনে গণহত্যা ও একাধিক হত্যাকাণ্ডের তদন্ত। এই তদন্তে ক্ষমতাচ্যুত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোস্ট ওয়ান্টেড। 

তাঁকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

   

বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে ‘উদ্বিগ্ন’ আমেরিকা, আলোচনা ভারতের সঙ্গে

ভারতে আশ্রিত শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে রাষ্ট্রদূত মারফত যোগাযোগ করবে বাংলাদেশ সরকার। এই বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ও মামলার প্রেক্ষিতে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। আমি মনে করি ভারত সরকার এটি জানে এবং আমি নিশ্চিত তারা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, ভারত থেকে যে ধরনের বিবৃতি আসছে তাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস খুবই অসন্তুষ্ট। আমাদের অবস্থান ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানিয়েছি। উল্লেখ্য ঢাকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মার সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয় বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টার।

আরজিকর কাণ্ডে ‘রাম-বাম’কে কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী

সরকারি চাকরিতে আসন সংরক্ষণ ইস্যু ঘিরে ছাত্র ও জনতার গণবিক্ষোভে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দলটি টানা চতুর্থবার সরকার গঠন করেছিল। ১৬ বছর একটানা চলেছিল সরকার। অভিযোগ, আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়েছে গণহত্যা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চের দাবি, ‘শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই’। ‘গণহত্যা’ তদন্তে বাংলাদেশে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অম্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রসংঘের সাহায্য চেয়েছে। সম্মতি দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। তাদের প্রতিনিধিদের নজরদারিতে হবে তদন্ত।