শেখ হাসিনা কোথায়? গণবিক্ষোভে প্রাক্তন মেয়রকে খুনের চেষ্টা, নিহত সহকারী

বিদ্রোহের জনপ্লাবনে অস্থির (Bangladesh Unrest) বাংলাদেশ। বিশেষ সূত্র ধরে Kolkata24x7 জানাচ্ছে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের যে আন্দোলন পড়ুয়ারা শুরু করেছিলেন সেই আন্দোলন এখন সম্পূর্ণ জামাত…

Bangladesh unrest

বিদ্রোহের জনপ্লাবনে অস্থির (Bangladesh Unrest) বাংলাদেশ। বিশেষ সূত্র ধরে Kolkata24x7 জানাচ্ছে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের যে আন্দোলন পড়ুয়ারা শুরু করেছিলেন সেই আন্দোলন এখন সম্পূর্ণ জামাত ইসলামির নিয়ন্ত্রণে। পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামসহ আরও কিছু উগ্র ধর্মীয় সংগঠন এই আন্দোলনে সরকার ফেলে দিতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।

সূত্র মারফত Kolkata 24×7 আরও জানতে পারছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় কন্যা তিনি। তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের বাকি সদস্যদের নিরাপত্তা বলয় আরও বাড়িয়ে দিলেও পরিস্থিতি যে কোনও মুহূর্তে আরও খারাপ হবার আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

   

প্রবল শক্তিশালী আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব জীবন বাঁচাতে মরিয়া। জানা যাচ্ছে দলেরই নির্দেশে তারা গোপন আশ্রয়ে। কারণ, দেশজুড়ে চলা বিক্ষোভ থেকে এখন কোটা সংস্কারের স্লোগানের বদলে “সরকার উপড়ে ফেলার” বার্তা ছড়াচ্ছে।

আরও জানা যাচ্ছে, টানা চার বার ক্ষমতা দখল ও মোট পাঁচবার প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকা বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর মহিলা নেত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন ‘গণভবন’ ঘিরে ব্যাপক জমায়েত ও হামলার প্রস্তুতি নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। হাসিনা কোথায়? উঠছে প্রশ্ন।

বাংলাদেশের এই অস্থির পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার অন্তত ৫৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।শু়ধুমাত্র রাজধানী ঢাকাতেই ২৪ জন নিহত। রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগে হিংসাত্মক পরিস্থিতি। জামাত ইসলামির অন্যতম ঘাঁটি চট্টগ্রামের পরিস্থিতি আরও খারাপ।

BBC জানাচ্ছে, ঢাকায় রক্তাক্ত সংঘর্ষ চলছে। রাজধানীর উত্তরা এলাকার আজমপুরে কোটা সংস্কার ইস্যুতে আন্দোলন চলাকালীন হামলায় শুক্রবার গাজীপুর পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আহত। তার ব্যক্তিগত সহকারি (পিএস) নিহত হয়েছেন। তার নাম আতিকুর রহমান জুয়েল।

বিবিসি বাংলার খবর, কোটা সংস্কার ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চের সংগঠকদের সাথে সরকার আলোচনার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে সংগঠকরা বলছে, এত প্রাণহানির পর আলোচনার পথ আর খোলা নেই। সংগঠনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “ছাত্র হত্যার বিচার করা না হলে আমাদের আন্দোলন অব্যহত থাকবে”।