রক্তাক্ত বিক্ষোভে ‘জামাত ইসলামি ইন্ধন’, হাসিনা সরকার নামাল সেনা

বাংলাদেশে সরকারি চাকরির কোটা নীতি সংস্কারের দাবিতে পড়ুয়াদের বিক্ষোভে জামাত ইসলামিসহ একাধিক উগ্র ধর্মীয় সংগঠনের প্রত্যক্ষ সংযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। ‘সরকার পতন’ এখন বিক্ষোভের অভিমুখ। বাংলাদেশের…

Bangladesh Army

বাংলাদেশে সরকারি চাকরির কোটা নীতি সংস্কারের দাবিতে পড়ুয়াদের বিক্ষোভে জামাত ইসলামিসহ একাধিক উগ্র ধর্মীয় সংগঠনের প্রত্যক্ষ সংযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। ‘সরকার পতন’ এখন বিক্ষোভের অভিমুখ। বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Unrest) এতটাই অগ্নিগর্ভ যে সেনাবাহিনী নামল। জারি হল কারফিউ। রক্তাক্ত বিক্ষোভে কমপক্ষে ৭৫ জন নিহত। একাধিক পুলিশ থানা বিক্ষোভকারীদের দখলে। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ চলছে। 

প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে নেমেছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের শাখা সংগঠন ছাত্র লীগ। তাদের ‘হামলা’র জবাবে পাল্টা হামলা শুরু করে পড়ুয়ারা। সেই সংঘর্ষ এতটাই বড় আকার নিয়েছে যে গত তিন দিনে রক্তাক্ত বাংলাদেশ।

   

বিবিসির খবর, কোটা সংস্কার ইস্যুতে চলমান আন্দোলনে দেশজুড়ে সহিংসতার পর সারাদেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। শুক্রবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ক্ষমতাসীন জোটের ১৪ দলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, বৈঠকে শেষে আইন মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সিদ্ধান্ত কার্যকরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তিনি জানান, সারা দেশের যে যে জায়গায় সংঘাত আশঙ্কা রয়েছে সেই সব জায়গায় প্রশাসনকে সহায়তা করবে সেনাবাহিনী।

রাত থেকেই সেনা নামছে। কোটা সংস্কার ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চের সংগঠকদের সাথে সরকার আলোচনার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে সংগঠকরা বলছে, এত প্রাণহানির পর আলোচনার পথ আর খোলা নেই। সংগঠনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “ছাত্র হত্যার বিচার করা না হলে আমাদের আন্দোলন অব্যহত থাকবে”। কারফিউর মাঝে বিক্ষোভ জারি থাকলে আরও মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ল।