বাড়ছে পড়ুয়াদের লাশ, হাসিনাকে বার্তা ‘খুনিদের সঙ্গে আলোচনা নয়’

সরকারি চাকরি হবে মেধার ভিত্তিতে (Anti Quota Movement) এই দাবিতে বাংলাদেশের পড়ুয়ারা রাজপথে বিশাল বিক্ষোভে সামিল। বিক্ষোভে জ্বলছে বাংলাদেশ। সরকারি ভবন, বি টিভি কার্যালয়ে আগুন…

সরকারি চাকরি হবে মেধার ভিত্তিতে (Anti Quota Movement) এই দাবিতে বাংলাদেশের পড়ুয়ারা রাজপথে বিশাল বিক্ষোভে সামিল। বিক্ষোভে জ্বলছে বাংলাদেশ। সরকারি ভবন, বি টিভি কার্যালয়ে আগুন ধরানো হয়েছে। একের পর এক পুলিশ থানায় হামলা (Anti Quota Movement), পুলিশের গুলির পাল্টা বোমাবাজি চলছে। সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে প্রবল ক্ষমতাসীন শাসক দলের শাখা সংগঠন ছাত্র লীগ বিতাড়িত। গত দুদিনে কমপক্ষে ১১ জন নিহত।

আন্দোলনরত পড়ুয়াদের তরফ থেকে জানানো হল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনাই সম্ভব নয়। এমন জোরালো প্রত্যাখ্যানে হতচকিত হাসিনা সরকার। কারণ, সরকারপক্ষ মনে করেছিল আলোচনায় অংশ নেবে বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিরা। তবে তাদের অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীত।

   

‘খুনিদের সঙ্গে আলোচনা নয়’ এই বার্তা দিল কোটা নীতি সংস্কারের দাবি তোলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চ। এই মঞ্চের আহ্বানে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে বনধ পালিত হয়। তীব্র সংঘর্ষে রক্তাক্ত পরিস্থিতি বাংলাদেশে। মেধায় চাকরির দাবিতে লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া নেমেছেন আন্দোলনে।

Bangladesh: মেধায় চাকরির দাবিতে পড়ুয়াদের সামনে ঝুঁকল দুর্জয় হাসিনার সরকার, আলোচনার বার্তা

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকার আলোচনায় বসতে রাজি বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সরকারের আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, ‘লাশের ওপর দাঁড়িয়ে আলোচনায় বসব না’।

প্রবল চাপে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলা আওয়ামী লীগের সরকার। পকপর চার বার ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুর্জয় তকমাধারী আওয়ামী লীগ। তবে তারা পড়ুয়াদের আন্দোলনের সামনে দিশাহারা। সরকারে তরফে বার্তা দিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, সরকার কোটা সংস্কারের পক্ষে আছে। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে সরকার একমত।  সরকার চা়ইছে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার দিন এগিয়ে আনতে।

কোটা বিরোধী বিক্ষোভে রক্তাক্ত পদ্মাপারের বাংলা, সব ভারতীয় ভিসা সেন্টার বন্ধ

সরকারের বার্তা প্রত্যাখ্যান করেছে আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীরা বলছেন, আলোচনা তো আগেও হতে পারত। আলোচনা আর গোলাগুলি একসঙ্গে হয় না। লাশের ওপর দিয়ে তো আলোচনায় যাওয়া যায় না।