অসহায় শেখ হাসিনার প্রশাসন। টানা চারবার সরকারে থেকে চরম শক্তিশালী আওয়ামী লীগ এক প্রকার ‘পলাতক’ ভূমিকা নিচ্ছে। বাংলাদেশে (Bangladesh) সরকারি চাকরিতে কোটা নীতির সংস্কারে হিংসাত্মক আন্দোলন চলছে। বিবিসি বাংলার খবর, জেলের দখল নিল বিক্ষোভকারীরা।
BBC জানাচ্ছে, “কোটা সংস্কার ইস্যুতে আন্দোলনের মধ্যেই শুক্রবার নরসিংদীর জেলা কারাগারে হামলা চালিয়ে দখলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। এসময় কারাগারটি কারারক্ষীদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অন্তত কয়েকশ কয়েদি কারাগার থেকে বের হয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।”
বিবিসি আরও জানাচ্ছে, বিক্ষোভকারীরা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা পরিষদ ও জেলা কারাগারসহ বেশ কয়েকটি ভবনে হামলা চালায়। নরসিংদী জেলটি কারা পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সেখান থেকে পালায় বহু আসামী। এই জেলে শুক্রবার পর্যন্ত অন্তত এক হাজারেরও বেশি কারারক্ষী বন্দি ছিল। পরে নরসিংদী শহরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঢাকার রামপুরা থানায় হামলা চলেছে। পুলিশ অসহায়। তীব্র সংঘর্ষ চলেছে ঢাকার একাধিক এলাকায়। বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আক্রান্ত হচ্ছে বাংলাদেশের এলিট ফোর্স ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন।
বাংলাদেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা ( বাসস) জানাচ্ছে, “ঢাকাসহ সারাদেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভবিক রাখতে ২২৯ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।”
সরকারি চাকরিতে কোটার ভাগ কমানোর দাবিতে বাংলাদেশের পড়ুয়ারা একজোট। তাদের সম্মিলিত প্রতিবাদ থামাতে পুলিশ ও ছাত্র লীগ একযোগে নামে। হামলা পাল্টা হামলায় রক্তাক্ত পরিস্থিতি। বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জুড়ে “কমপ্লিট শাটডাউন” পালন করেছেন পড়ুয়ারা। শুক্রবারও গোটা দেশ থেকে রাজধানী ঢাকা বিচ্ছিন্ন। বাংলাদশের সর্বত্র পুলিশ-আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ চলছে।
লক্ষ লক্ষ পড়ুয়াদের বিক্ষোভে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা নেত্রীরা নিরাপদ আশ্রয় নিতে মরিয়া। দলটির শাখা সংগঠন ছাত্র লীগের একাধিপত্য আপাতত বিলীন। দেশটির কোনও বিশ্ববিদ্যালয়েই তাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকারি চাকরিতে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের দমাতে ছাত্র লীগকে মারমুখী করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা বিফলে গেছে বলে দলটির নেতারা ঘনিষ্ঠ মহলে মুখ খুলছেন।