‘শেখ হাসিনা পালায় না’, গুজবের জবাব দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশে চাকরিতে সংরক্ষণ ইস্যু ঘিরে রক্তাক্ত পরিস্থিতির পর মুখ খুললেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢুকে বিএনপি-জামাত তান্ডব চালিয়েছে। তারা…

Bangladesh PM Sheikh Hasina Addresses Escape Rumors: 'False Claims of My Departure

বাংলাদেশে চাকরিতে সংরক্ষণ ইস্যু ঘিরে রক্তাক্ত পরিস্থিতির পর মুখ খুললেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢুকে বিএনপি-জামাত তান্ডব চালিয়েছে। তারা গুজব ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশকে যখন আমরা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছি, তখন দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। আন্দোলনের মধ্যে গুজব ছড়ানো হয়েছে, শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু বলে দিতে চাই, শেখ হাসিনা পালায়নি, পালায় না।’

   

উল্লেখ্য India Today Ne সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত “Indian students flee Dhaka amid violent clashes, PM Sheikh Hasina airlifted” সংবাদে বিশ্ব জুড়ে আলোড়ন ছড়ায়। রটে যায় রক্তাক্ত দেশবাসীকে ফেলে রেখে শেখ হাসিনা পলাতক। প্রবাসী একাধিক বাংলাদেশি যারা মূলত হাসিনা বিরোধী বলে নিজেদের মতামত সামাজিক মাধ্যমে দেন তারা ওই সংবাদের ভিত্তিতে বলতে শুরু করেন শেখ হাসিনা পলাতক।

সংবাদটির Fact Check করে Kolkata 24×7 রবিবার জানিয়েছিল এটি গুজব। সোমবার India Today Ne কর্তৃপক্ষ তাদের সাইটে ওই সংবাদটি প্রকাশের জন্য ক্ষমা চায়। ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়, শেখ হাসিনার দেশত্যাগ সংবাদটি ভুল। সোমবার শেখ হাসিনা কড়া প্রতিক্রিয়ায় বিষয়টিকে গুজব বলেছেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্র আন্দোলনে ঢুকে জামাত ও শিবির জঙ্গি সংগঠনের মত তান্ডব চালিয়েছে, আর তাতে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি কারফিউ দিতে চাইনি। আমাদের সন্তান ও ছাত্ররা যখন মাঠে ছিল তখন তাদের ঢাল করে জ্বালাও-পোড়াও চালানো হয়। তবে ছাত্ররা যখন ঘোষণা দিল এসব জ্বালাও-পোড়াও এবং সংঘাত তারা করেনি, তখন আমরা আর্মি নামিয়েছি, কারফিউ জারি করেছি।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢুকে সরকারি সম্পত্তির উপর হামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। হতাহতের তথ্যও তুলে ধরেন তিনি। বিবিসির খবর, শতাধিক নিহত। কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার দাবি নিহত দেড় শতাধিক।

আন্দোলন ঘিরে অভ্যুত্থানের ছক করা হয় বলে বাংলাদেশ সরকারের দাবি। এই আন্দোলনের পর বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার আমূল সংস্কার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে বলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ।