বাংলাদেশের রাজধানী (Bangladesh News) ঢাকার সেগুনবাগিচায় অবস্থিত সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে বুধবার গভীর রাতে ভয়াবহ আগুন লাগে। এই ভবনে বাংলাদেশ (Bangladesh News) সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দপ্তর রয়েছে। আগুন লাগার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল বাহিনী (Bangladesh News)। প্রায় ৬ ঘণ্টার চেষ্টার পর বৃহস্পতিবার সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে (Bangladesh News) আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।
সচিবালয়ের (Bangladesh News) ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগে বুধবার রাত ১টা ৫০ মিনিটে। খবর পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ৮টি ইঞ্জিন। তবে আগুনের ভয়াবহতা ক্রমশ বাড়তে থাকায় আরও ইঞ্জিন পাঠানো হয়। দমকলের মোট ১৯টি ইউনিট কাজ করে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে এবং এর ফলে ঠিক কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগুন লাগার ঘটনায় ভবনের ৮ এবং ৯ তলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই তলাগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সংরক্ষিত ছিল। বিশেষত যুব ও ক্রীড়া, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়, শ্রম ও কর্মসংস্থান, অর্থ মন্ত্রক, এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রকের অফিস ছিল এই ভবনে। অনুমান করা হচ্ছে, আগুনে অনেক নথি পুড়ে গেছে, যার ফলে প্রশাসনিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুঃখজনকভাবে এক দমকল কর্মী মারা গিয়েছেন। আগুন নেভানোর সময় জলের পাইপ নিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি গাড়ি তাঁকে ধাক্কা দেয়। এই দুর্ঘটনা বাংলাদেশের প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া ফেলেছে।
অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের আধিকারিকরা আগুন লাগার কারণ তদন্ত করছেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক ত্রুটি বা শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তবে, সঠিক কারণ জানার জন্য তদন্ত চলছে।
যেহেতু সচিবালয়ের এই ভবনে বিভিন্ন মন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ নথি রাখা ছিল, তাই অনেক নথিপত্র পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে সরকারের প্রশাসনিক কাজকর্মে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এমন অগ্নিকাণ্ড সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন তুলছে। এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়ানোর জন্য আরও সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা এবং জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। তবে আপাতত আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে, যা কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষকে।