নিষিদ্ধ প্রক্রিয়া শুরু, আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে ‘অ্যাকশন’ করবে জামাত ইসলামি

নিষিদ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশের জামাত ইসলামি গোষ্ঠী। নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত হওয়ার আগেই দলটির নেতারা আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাচ্ছে। সূত্রের খবর, গ্রেফতারি এড়াতে আন্ডারগ্রাউন্ড থেকেই অ্যাকশনের কর্মসূচি তৈরি করবেন…

নিষিদ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশের জামাত ইসলামি গোষ্ঠী। নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত হওয়ার আগেই দলটির নেতারা আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাচ্ছে। সূত্রের খবর, গ্রেফতারি এড়াতে আন্ডারগ্রাউন্ড থেকেই অ্যাকশনের কর্মসূচি তৈরি করবেন জামাত নেতৃত্ব। বিবিসি’র খবর, বাংলাদেশ সরকার বুধবারের মধ্যে নিষিদ্ধ করবে জামাতা ইসলামিকে।

জানা যাচ্ছে বাংলাদেশে জামাত ইসলামি ও এই দলটির শাখা সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হবে। সাম্প্রতিক রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরিতে জামাতের সরাসরি ভূমিকা ছিল বলে আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উল্লেখ্য জামাত ইসলামিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এবার দলটি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হতে চলেছে।

   

বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন আগামীকালের মধ্যে একটা ব্যবস্থা নেয়ার। আমি আশা করি কিছুক্ষণ পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বসব। সেখানে আমরা সিদ্ধান্ত নেব কোন আইনি প্রক্রিয়ায় জামাত নিষিদ্ধ হবে।

বাংলাদেশে বারবার জামাতের রক্তাক্ত হিংসাত্মক আন্দোলন হয়। প্রতিবারই বহু প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ড ও পাক সেনার মদতে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জামাত ইসলামির একাধিক শীর্ষ নেতাকে যুদ্ধঅপরাধের দায়ে ফাঁসির সাজা দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। তবে সব অভিযোগই বানানো বলে দাবি করে জামাত ইসলামি।

সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঐ বৈঠকে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়। জামাত নিষিদ্ধ হলে দেশের পরিস্থিতি শান্ত হবে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী।

শেখ হাসিনার সরকারের নিন্দা করে বাংলাদেশ জামাত ইসলামির আমির (প্রধান) ড: শরিফুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের আইন ও সংবিংধান কাউকে এ এখতিয়ার দেয়নি। কোনো দল বা জোট অন্য কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার ধারা চালু হলে এক দল অন্য দলকে নিষিদ্ধ করতে থাকবে। তখন রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা বলে কিছু থাকবে না। জামায়াতে ইসলামী একটি প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন, যা বাংলাদেশের সকল গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে। প্রতিটি গণতান্ত্র্রিক আন্দোলনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। আওয়ামী লীগ জামায়াতের সাথে বসে অতীতে অনেক আন্দোলন করেছে। দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থার ফর্মূলা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছে এবং তার ভিত্তিতে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরকম একটি গণতান্ত্রিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার দাবি বেআইনি, এখতিয়ার বহির্ভূত ও সংবিধান পরিপন্থি। জনগণ ১৪ দলের এই দাবি গ্রহণ করবে না।”