ISKCON: আন্তর্জাতিক সংগঠন ইসকনের সংগঠক ও বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ মুখপাত্র, চট্টগ্রামের পুণ্ডরিক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করল পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সোমবার (২৫ নভেম্বর) চিন্ময়কৃষ্ণকে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, একটি অভিযোগের রিক্যুইজিশনের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। সে অনুযায়ী তাকে নির্ধারিত থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জানা গেছে, চিন্ময়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ অভিযোগে মামলা চলছে। অভিযোগ, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছিল। চিন্ময়কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চের মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। এর জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। তবে ইসকন বাংলাদেশ শাখা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
যদিও ইসকনের কার্যনির্বাহী কমিটির কয়েকজন সদস্য বলেছেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে দাসকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে গত জুলাই মাসে ইসকন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি আদৌ ইসকল বাংলাদেশ শাখার সদস্য নন।
গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ রক্তাক্ত গণবিক্ষোভে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন। এর পর বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ, সেসব সমাবেশ থেকে চিন্ময়কৃষ্ণ দাস বর্তমান সরকারের উদ্দেশে নানা ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখেন।
গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘি মাঠে ৮ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সমাবেশ করা হয় বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের নামে। ওইসব সমাবেশে এই চিন্ময়কৃষ্ণ দাস বাংলাদেশের হিন্দুদের মঠ-মন্দিরে হামলা বাড়িঘরে লুট, অগ্নিসংযোগসহ নানা অভিযোগ করেন। অভিযোগ সেই সমাবেশে বাংলাদেশের পতাকার উপর নিজেদের সংগঠনের ধর্মীয় পতাকা রাখা হয়েছিল।
চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ইসকনের অন্যতম সংগঠক। তিনি সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি চিন্ময় প্রভু নামে পরিচিত। চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ।