বাংলাদেশে উচ্চমাধ্যমিক অনিশ্চিত, ছাত্র আন্দোলনে কাঁপছে ড. ইউনূসের সরকার

বাংলাদেশে (Banglades) ফের ছাত্র আন্দোলন। ঢাকা উত্তাল। সরকারের সচিবালয়ের ভিতর ঢুকে পড়লেন ছাত্র-ছাত্রীরা। রক্ষীরা সরে গেল। অভিযোগ, উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চিত পরিস্থিতির তৈরি করেছে…

Bangladesh is hot again with students' movement demanding cancellation of exams

বাংলাদেশে (Banglades) ফের ছাত্র আন্দোলন। ঢাকা উত্তাল। সরকারের সচিবালয়ের ভিতর ঢুকে পড়লেন ছাত্র-ছাত্রীরা। রক্ষীরা সরে গেল। অভিযোগ, উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চিত পরিস্থিতির তৈরি করেছে সরকার। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে পরীক্ষা বাতিল করতে হবে। নতুন করে ছাত্র আন্দোলনে কাঁপছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে আসন সংরক্ষণ নিয়মের সংশোধন ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ধাক্কায় পতন হয় শেখ হাসিনার টানা চার বারের সরকারের। তিনি ভারতে আশ্রিত। রক্তাক্ত গণবিক্ষোভের পর বাংলাদেশে গত ৮ জুলাই থেকে চলছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের অন্যতম নিয়ন্ত্রক ছাত্র আন্দোলনে বৈষম্যবিরোধী মঞ্চ। তারা বারবার বলেছে, শেখ হাসিনার স্বৈরাচার শেষ হলেও নতুন যে সরকার চলছে তাকে নরম হতে হবে। নচেত সরকার উপড়ে ফেলা হবে।

   

বাংলাদেশে রক্তাক্ত গণবিক্ষোভের সময় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। ফলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাসূচির পরিবর্তন হয়। পড়ুয়ারা বলছেন, দেড় মাসের পরীক্ষা আমরা কয়েক মাস ধরে ঝুলে আছি। সরকার আমাদের কয়েকদিন আগেও জানিয়েছিল সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখে পরীক্ষা হবে। তাহলে আরও এক মাস লাগবে পরীক্ষার জন্য। এরপর এক মাসব্যাপী পরীক্ষা হবে। এত সময় নিলে আমাদের ফলাফল প্রকাশ করবে কখন? আর আমরা ভর্তি হব কবে?

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার বিপুল সংখ্যায় পড়ুয়ারা সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন। অফিসারদের ঘেরাও করা হয়। ফের গরম পরিস্থিতি তৈরি হয়। পড়ুয়ারা বলছেন, একটা বোর্ড পরীক্ষা কীভাবে ৬-৭ মাস পর্যন্ত ঝুলে থাকে? আমরা এটা মানি না। আমরা চাই যেসব পরীক্ষা হয়েছে সে অনুযায়ী পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হোক। দাবি না মানলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

বাংলাদেশ শিক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা অর্ধেক প্রশ্নোত্তরে অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া পুনরায় পরীক্ষা শুরুর দিন ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আরও দুই সপ্তাহ পিছিয়ে যাবে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত হয় আগে যে বিষয়ে ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হত সেখানে এখান চারটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। তবে পরীক্ষার পূর্ণ সময়ই বহাল থাকছে। একইসঙ্গে পরীক্ষা আরও দুই সপ্তাহ বা তার চেয়ে বেশি সময় পিছিয়ে নতুন সময়সূচি (রুটিন) প্রকাশ করা হবে। এই সিদ্ধান্তের পর নতুন করে ছাত্র আন্দোলন শুরু।