এই দেখুন আমাদের প্রতীক। ভালো করে দেখে নিন। আর ৭ জানুয়ারি ঈগল চিহ্নে ভোট দিন…। মাইক নিয়ে চলছিল বাংলাদেশে (Bangladesh) ভোট প্রচার, সঙ্গে একটা বড় শকুন! হাতের নাগালে ঈগল না পেয়ে শকুন ধরে এনে ভোটের প্রচারে গরম গরম ভাষণ চলছিল দেদার। ছবি এক সেকেন্ড ভাইরাল।
বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচনে নির্দল (স্বতন্ত্র) প্রার্থীদের বেশিরভাগই ঈগল চিহ্ন বেছে নিয়েছেন। এই প্রার্থীদের বেশিরভাগই বিক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ নেতা। দলীয় প্রতীকের প্রার্থী হতে না পেরে তারা নির্দল হয়ে নেমে পড়েছেন ভোটে। রাজনৈতিক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, শতাধিক আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাথে বিদ্রোহী-বিক্ষুব্ধ নির্দলদেরই মূল লড়াই হতে চলেছে। তেমনই এক নির্দল প্রার্থী আবদুল মজিদ খান। তিনি লড়ছেন,য হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে।
নির্দল আবদুল মজিদ খানের প্রতীক ঈগল। তার সমর্থকরা অনেক খুঁজে ঈগল ধরতে না পেরে একটি বুড়ো শকুনকে ধরে আনেন। শুরু হয়ে যায়, শকুনকে ডামি ইগল বানিয়ে ভোট প্রচার। জীবন্ত শকুন নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চলছে দেখে বন্যপ্রাণ অধিকার কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
এলাকায় বিশেষ প্রভাব আবদুল মজিদ খানের। কারণ তিনি গতবার আওয়ামী লীগের টিকিটে জয়ী সাংসদ। এবার টিকিট না পেয়ে বিদ্রোহী হয়েছেন। অভিযোগ, আবদুল মজিদ খান তার প্রভাব খাটিয়ে বন্যপ্রাণ অধিকার কর্মীদের ভয় দেখান। তবে বিতর্ক বাড়তে থাকে।
বাংলাদেশ সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারে প্রতীক হিসেবে জীবন্ত প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না। খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মীরা এসে শকুন উদ্ধার করেন। অসুস্থ শকুনটি সুস্থ হলে তাকে ফের বনে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশে মাত্র ২৬৮টি শকুন রয়েছে জানিয়ে হবিগঞ্জ বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী বলেন, এটি হিমালয় থেকে আসা বিরল প্রজাতির একটি শকুন। অসুস্থ শকুনটির চিকিতসা চলছে। এটিকে চুনারুঘাটের রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে ছাড়া হবে।