বাংলাদেশ সরকারের ‘নৌকাডুবি’, জনতার বিদ্রোহে দেশত্যাগ শেখ হাসিনার

এত বিদ্রোহ কখনো দেখেনি কেউ…। জনতার ঘেরাও থেকে তারুণ্যের চিৎকার শেখ হাসিনার আর নাই দরকার। রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের ধাক্কায় ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের টানা চতুর্থবার ‘ভয়াবহ নির্বাচন’-এ জয়ী…

Bangladesh PM Sheikh Hasina Warns

এত বিদ্রোহ কখনো দেখেনি কেউ…। জনতার ঘেরাও থেকে তারুণ্যের চিৎকার শেখ হাসিনার আর নাই দরকার। রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের ধাক্কায় ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের টানা চতুর্থবার ‘ভয়াবহ নির্বাচন’-এ জয়ী শেখ হাসিনা। শেষ হয়ে গেল তাঁর দীর্ঘ শাসন। বিবিসি-র খবর অনুসারে, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তার আগে হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশে একটি ভিডিও রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন বলে খবর। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই সুযোগ তিনি পাননি। এরপরই জানা যায়, বোন রেহানাকে নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। তাঁদের গন্তব্য কোথায়? সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের পথে তাঁদের উড়ান।

বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বারবার খ্যাতির শীর্ষে থাকা শেখ হাসিনা ছিলেন বাঙালি রাজনীতিক হিসেবে বিশ্বে বন্দিত। কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনগুলির রিপোর্ট অনুসারে বাংলাদেশে দমবন্ধ করা রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করেছিলেন হাসিনা। তিনি ক্ষমতাচ্যুত।

সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ইস্যু ঘিরে পড়ুয়াদের আন্দোলন থেকে যে গণবিক্ষোভ তৈরি হয়েছে তা থামাতে দমন নীতির পথে হেঁটে সরতে হল তাঁকে। পিতা বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মা,ভাই আত্মীয়দের ১৯৭৫ সালে সেনা অভ্যুত্থানে খুন করা হয়েছিল। তারপর দীর্ঘ সময় ভারতে প্রবাস জীবন। আশির দশকে বাংলাদেশে ফিরে রাজনীতির কেন্দ্রে পৌঁছে যান শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ তাদের নৌকা চিহ্ন নিয়ে পদ্মা-মেঘনার দেশে তরতরিয়ে ক্ষমতার চেয়ারে বারবার পৌঁছে গেছিল। একইসাথে বিরোধী রাজনীতি ও সমালোচনা বন্ধ করার অভিযোগেও শেখ হাসিনা ছিলেন অভিযুক্ত।

গত তিন দফায় বিপুল জয় পেয়ে টানা চতুর্থ দফায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ফের জয় বিশ্বে চমক তৈরি করেছিল। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের অস্তিত্ব প্রায় নেই। সরকারিভাবে জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হলেও দলটি শেখ হাসিনার অনুমতিতে চলায় সমালোচিত। আর ভোট বয়কট করলেও বিএনপি হল মূল বিরোধীপক্ষ।

Advertisements

এদিকে জটিল পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ সময় দুপুর দুটোয় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর সোমবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। সে সময় পর্যন্ত সকলকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এর আগে গত শনিবার (৩ আগস্ট) সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।’

বাংলাদেশে বন্ধ ইন্টারনেট। ঢাকা লং মার্চ রুখতে সেনা নামিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিক্ষোভকারীদের দাবি হাসিনার পদত্যাগ। শতাধিক নিহত।