ইসকন সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসের (Chinmay Das) জেলবন্দী নিয়ে ইউনূস (Muhammad Yunus) সরকারকে প্রশ্ন করলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ। শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে তিনি কার্যত ইউনূস সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কেউ যেন ন্যায় বিচার না পেয়ে জেলে বন্দী না থাকে। তাঁর বক্তব্যে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে। প্রধান বিচারপতি ইউনূসকে রাজধর্মের কথা মনে করিয়ে দিলেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞমহল। গতকাল শুক্রবার চিন্ময় দাসের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক ফারহাদ মাজহার।
ইন্ডিয়া জোটকে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত মমতা, প্রশ্ন তুলেছেন এর কার্যকারিতা নিয়েও
বৃহস্পতিবার ইউনূসের ডাকা সর্বধর্ম বৈঠকে সরাসরি মহম্মদ ইউনূসকে প্রশ্ন করে তিনি বলেছেন, “আমি চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁর কোনও বক্তব্যকে রাষ্ট্রদ্রোহী বলে মনে হয়নি। সন্ন্যাসীর কোনও মতের সঙ্গে ভিন্নমত থাকতেই পারে। কিন্তু সেটি গ্রেফতারের কারণ হতে পারে না। এর আইনি ভিত্তি কী?”
বড় ধাক্কা ইউনূসকে ! বাংলাদেশে ‘হিন্দু-নির্যাতনে’ ইস্যুতে সরব মার্কিন কংগ্রেস
চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের পেছনে সরকারের অবস্থান নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তাঁর সমর্থকরা দাবি করেছেন, সন্ন্যাসী শুধুমাত্র ধর্মীয় শিক্ষা এবং সামাজিক সমন্বয়ের বার্তা প্রচার করছিলেন। তিনি কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না। তা সত্ত্বেও তাঁর বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মহিলাদের সম্মানরক্ষায় ভারতের জেলে থাকতেও রাজি বাংলাদেশি হিন্দুরা
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমেই ক্ষোভ বাড়ছে প্রতিবেশি দেশটির শিল্পী-সাহিত্যিক মহলে। তবে পরিস্থিতির কথা বিচার করেই মুখে প্রতিবাদ করতে রীতিমতো ভয় পাচ্ছেন সেদেশের বিশিষ্টমহল। তবে এবার ইউনূসের নিয়োজিত প্রধান বিচারপতি হিন্দু-নির্যাতন নিয়ে মুখ খোলায় বেজায় বেকায়দায় পড়তে হল ইউনূস সরকারকে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।