দেশজুড়ে অরাজকতা নিয়ে ফের ইউনূস সরকারের উদ্দেশ্যে কঠোর বার্তা বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদের (Syed Refaat Ahmed)। রবিবার একটি নাগরিক সভায় তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “বর্তমানে আমরা এক ধ্বংসস্তুপের মধ্যে আছি। ৭১’র মুক্তি যুদ্ধের কথা স্মরণে রাখা উচিত। মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানেই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ স্থাপিত হয়েছিল।”
বাশর-আল-আসাদ কী বিমান দূর্ঘটনায় মৃত? রাডারে ধরা পড়ছে না প্লেন
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সৈয়দ রিজভি আহমেদের এই বক্তব্য চলমান পরিস্থিতিতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞমহল। কারণ বাংলাদেশের এই অরাজক পরিস্থিতিতে সেদেশের প্রধান বিচারপতির এই মন্তব্যে কিছুটা চাপ বাড়তে পারে ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর। কারণ এখনও বাংলাদেশের একটা অংশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রানিত। সম্প্রতিকালে হাসিনা পরবর্তী নৈরাজ্য তাদেরকেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছে। আর লাগাতার চলতে থাকা হিন্দু নির্যাতন চিন্ময় দাসের গ্রেফতারি ও ভারত বিদ্বেষী যুদ্ধের জিগির সেদেশের শিক্ষিত ও বিচার-বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিববর্গকেও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
চার দিনে কলকাতা দখলের হুমকি বাংলাদেশি অবসরপ্রাপ্ত জওয়ানের
তারই প্রতিফলন প্রধান বিচারপতির মন্তব্যে পড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমেই ক্ষোভ বাড়ছে প্রতিবেশি দেশটির শিল্পী-সাহিত্যিক মহলে। তবে পরিস্থিতির কথা বিচার করেই মুখে প্রতিবাদ করতে রীতিমতো ভয় পাচ্ছেন সেদেশের বিশিষ্টমহল। সম্প্রতি ইসকন সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসের (Chinmay Das) জেলবন্দী নিয়ে ইউনূস (Muhammad Yunus) সরকারকে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ।
আলু-পেঁয়াজ আমদানিতে ভারত নয়, বিকল্প ৬ দেশে নজর বাংলাদেশের
শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে তিনি কার্যত ইউনূস সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “কেউ যেন ন্যায় বিচার না পেয়ে জেলে বন্দী না থাকে।” তাঁর বক্তব্যে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে। প্রধান বিচারপতি ইউনূসকে ‘রাজধর্মে’র কথা মনে করিয়ে দিলেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞমহল। গত শুক্রবার চিন্ময় দাসের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক ফারহাদ মাজহার (Farhad Mazhar)।তবে এবার ইউনূসের নিয়োজিত প্রধান বিচারপতি হিন্দু-নির্যাতন নিয়ে মুখ খোলায় বেজায় বেকায়দায় পড়তে হল ইউনূস সরকারকে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।