রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার শক্তি বাড়াতে শহরে বিশাল পুলিশ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে প্রায় ৭ হাজার পুলিশ কর্মী। শহরের ১৪২টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তারা মোতায়েন ছিলেন। বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবনের সামনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কেউ যেন সেখানে হঠাৎ করে বিক্ষোভ দেখাতে না পারে, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি ভবন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাড়ির সামনেও বন্দুক হাতে পুলিশ পাহারা দিয়েছে।
মহড়ার পেছনের কারণ নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। পুলিশ মুখপাত্র মহম্মদ তালেবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, “বিভিন্ন জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আমাদের বাহিনী কতটা প্রস্তুত, তা যাচাই করতেই এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।”
২০২৪ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর থেকে ঢাকা শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন সেনাবাহিনী নিয়োজিত ছিল। গত ১৫ মাসে সেনারা এই দায়িত্ব পালন করলেও, দু’দিন আগে ৬০ হাজার জওয়ানকে তারা প্রত্যাহার করেছে। সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, দীর্ঘদিনের কাজের পর জওয়ানদের বিশ্রামের প্রয়োজন হওয়ায় এটি করা হয়েছে। তবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে হতে যাওয়া নির্বাচনে তারা সবরকম সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এবার রাজধানীর নিরাপত্তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব এসেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওপর। এহেন পরিস্থিতিতে, দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা থাকায় এবং ২০২৬ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে নানা ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে এই মহড়া গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে, আগামী ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। দলের কার্যকরী কমিটির নেতা জাহাঙ্গির কবির নানক ভারত থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। গত কয়েক মাসে শেখ হাসিনার দলের শতাধিক কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি ও গ্রেফতারের ঘটনা ঘটছে।
রাজধানীর নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক উত্তেজনার এই চিত্র প্রমাণ করছে, নির্বাচন সামনে আসতেই ঢাকার রাস্তায় কড়া নিরাপত্তার মহড়া এক ধরনের প্রস্তুতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য সাধারণ জনগণকে সুরক্ষা দেওয়া এবং জরুরি পরিস্থিতিতে তৎপরতা বাড়ানো। ই মহড়ার সঙ্গে বুধবারে কর্মসূচির কোনও যোগাযোগ নেই ৷
