ঢাকা, ২৭ অক্টোবর: প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের অর্থনীতি (Bangladesh Economy) ফের বড় ধাক্কার মুখে। সাম্প্রতিক অডিট রিপোর্টে দেখা গেছে, দেশটির ব্যাংকিং খাতে মূলধনের ঘাটতি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। ২০২৫ সালের জুন অডিট অনুযায়ী, মূলধনের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ১.১৭ লক্ষ কোটি টাকা, যেখানে মার্চ মাসে এই অঙ্ক ছিল প্রায় ৮৩,০০০ কোটি টাকা।
সংকট কোথায়
বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টর দীর্ঘদিন ধরেই অনিয়ম, ঋণখেলাপি এবং দুর্বল আর্থিক শাসনের কারণে সমস্যায় ভুগছে। অডিট রিপোর্টে উঠে এসেছে—অপরিশোধিত ঋণ বাড়ছে, রিজার্ভ কমছে এবং বিদেশি মুদ্রা সংকট দেশের অর্থনীতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাত্র তিন মাসের মধ্যে ঘাটতি এতটা বেড়ে যাওয়া দেশের ব্যাংকিং কাঠামোর ভঙ্গুরতা প্রমাণ করছে।
অর্থনীতির ওপর প্রভাব
বাংলাদেশের ব্যাংকগুলির মূলধন ঘাটতি বাড়ার ফলে সরাসরি প্রভাব পড়ছে সাধারণ আমানতকারী ও বিনিয়োগকারীদের উপর। আন্তর্জাতিক ঋণ সংস্থাগুলির আস্থা কমছে। বিদেশি বিনিয়োগও শ্লথ হয়ে পড়ছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, যদি অবিলম্বে কঠোর সংস্কার ও আর্থিক শৃঙ্খলা আনা না হয়, তবে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি আরও গভীর সংকটে পড়তে পারে।
সরকারের ভূমিকা
বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা গেছে। ব্যাংকগুলোতে মূলধন জোগান, ঋণ পুনর্গঠন এবং বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণের মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করছেন, এগুলো অস্থায়ী সমাধান, মূল সমস্যার সমাধান নয়।
বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরের এই সংকট দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির জন্যও চিন্তার কারণ। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের বিশেষ নজর থাকবে এই পরিস্থিতির উপর। মূলধনের ঘাটতি ১.১৭ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছনো নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলছে।


