মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দাবিতে পড়ুয়া বিক্ষোভে গরম পদ্মাপারের জনজীবন, চাপে হাসিনা

সরকারি চাকরিতে কোটা নয়। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ চাই এমন দাবি তুলে পড়ুয়াদের বিক্ষোভে চরম চাপে পড়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার। কোটা বাতিলের নোটিশের দাবিতে টানা তৃতীয়…

সরকারি চাকরিতে কোটা নয়। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ চাই এমন দাবি তুলে পড়ুয়াদের বিক্ষোভে চরম চাপে পড়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার। কোটা বাতিলের নোটিশের দাবিতে টানা তৃতীয় দিন ধরে একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে জমায়েত। রাজধানী শহর ঢাকার আন্দোলন কেন্দ্র বলে সুপরিচিত শাহবাগ চত্বরে পড়ুয়াদের ঘেরাও অবরোধ চলছে।

‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে একত্রিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট মোড়, মৎসভবন হয়ে শাহবাগ আসে শিক্ষার্থীরা। শুরু হয় শাহবাগ ঘেরাও। বাংলাদেশে গত এক দশকের বেশি সময়ে বারবার গণবিক্ষোভের কেন্দ্র হয়েছিল শাহবাগ চত্বর। সেখানেই এখন দেশটির পড়ুয়ারা সরকারি চাকরিতে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ নিয়মের প্রবল বিরোধিতায় সামিল।

   

কী এই কোটা নিয়ম?

২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাপক কোটাবিরোধী আন্দোলন হয়। চাপে পড়ে নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেড পর্যন্ত চাকরির ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিল করে দেয় সরকার। তার আগে এসব পদে চালু থাকা কোটার ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং তাদের নাতি-নাতনিদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। এর বাইরে নারীদের জন্য ১০ শতাংশ, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধীদের জন্য এক শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকত।

মুক্তমনা-নাস্তিকদের খুনের নীতি ভারতে নয়, চরিত্র বদলাচ্ছে আনসার আল ইসলাম?

কোটা বতিল হল কেন এই দাবি তুলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলির তরফে আদালতে রায় পূনর্বিবেচনা আবেদন করা হয়। চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ৫ জুন কোটা পুনর্বহালের আদেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপর উচ্চ আদালতের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রাখে আপিল বিভাগ।

রায় বহাল হতেই কোটা নয় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের দাবি তুলে বিক্ষোভে সামিল বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা। তারা বলছেন, এভাবে সরকারি চাকরিতে মেধাবিহীন নিয়োগ মানা হবে না। তাদের স্লোগান “কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক”। তারা বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ করা এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

নিশিরাতে পরীমণির গোপন বন্ধু দুঁদে পুলিশ কর্তা, চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস