পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব, ভারতের সঙ্গে দূরত্ব…বাংলাদেশকে বড় ধাক্কা দিয়ে F-16 চুক্তি স্থগিত আমেরিকার

Bangladesh: পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও ভারতের সঙ্গে দূরত্বের ফল ভোগ করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নৃশংসতা প্রচারকারী ইউনূস সরকারকে আমেরিকা হতবাক করেছে। আমেরিকা তার শক্তিশালী বিমান…

US F-16 fighter jet

Bangladesh: পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও ভারতের সঙ্গে দূরত্বের ফল ভোগ করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নৃশংসতা প্রচারকারী ইউনূস সরকারকে আমেরিকা হতবাক করেছে। আমেরিকা তার শক্তিশালী বিমান F-16 কেনার জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টা স্থগিত করেছে। এর একটি বড় কারণ ভারত ও আমেরিকার মধ্যে উন্নত সম্পর্ককেও বিবেচনা করা হয়।

Advertisements

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তিক্ত হচ্ছে। আমেরিকার সঙ্গে এফ-১৬ চুক্তি না হওয়ায় এখন চিনের সঙ্গে এই প্রতিরক্ষা চুক্তি করছে বাংলাদেশ। একদিকে যেখানে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত সহিংসতার পরিবেশ রয়েছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ এখন তার বায়ু সেনার নৌবহর সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই জন্য বাংলাদেশ চিনের সঙ্গে বড় চুক্তি করতে যাচ্ছে।

   

বাংলাদেশের এয়ার চিফ মার্শাল হাস মাহমুদের সর্বশেষ বিবৃতিতে এটি প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ চিন থেকে যুদ্ধবিমান ও অ্যাটাক হেলিকপ্টার কেনার কথা ভাবছে। এসবের মধ্যে আমেরিকা বাংলাদেশকে এফ-১৬ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আমেরিকাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের এত উন্নত যুদ্ধবিমান কেন দরকার?

আমেরিকার এই কঠোর মনোভাবের পর বাংলাদেশ তার বিমান ঘাঁটি শক্তিশালী করতে চিনের কাছ থেকে J-10C মাল্টিরোল ফাইটার জেট কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যার প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশী বায়ু সেনার জন্য প্রায় 16টি J-10C যুদ্ধবিমান কেনা যাবে।

F-16 fighter jet

Advertisements

বাংলাদেশ বায়ু সেনা তার পুরনো F-7MB বিমান প্রতিস্থাপনের জন্য 16 J-10C বিমান ক্রয় করতে পারে। একই সময়ে, F-7BG এবং F-7BGI বিমান প্রতিস্থাপনের জন্য ভবিষ্যতে আরেকটি ক্রয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। J-10C-তে বাংলাদেশের আগ্রহও চিনের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার লক্ষণ হতে পারে। যদিও বাংলাদেশ বায়ু সেনা দীর্ঘদিন ধরে চিনা ফাইটার প্লেন পরিচালনা করে আসছে।

বর্তমানে বাংলাদেশের কাছে পুরনো মিগ-২৯ এবং এফ-৭ যুদ্ধবিমান রয়েছে। এই চুক্তি হলে বাংলাদেশ ও চিনের পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে তবে চিনের সঙ্গে কোনো প্রতিরক্ষা চুক্তি করলেই এখন বাংলাদেশও পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মালদ্বীপের মতো চিনের অর্থনৈতিক মাকড়সার জালে ফাঁদে পা দিতে প্রস্তুত রয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

চিনের এই কৌশলের মাধ্যমে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করা হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে চিনের বাড়তে থাকা ঘনিষ্ঠতা এবং এ ধরনের প্রতিরক্ষা চুক্তির কারণে ভারতের আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুতর হয়ে উঠছে। তবে এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারত ইতিমধ্যেই প্রস্তুত রয়েছে। এই সমস্ত দেশের তুলনায় ভারতের উচ্চতর বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং সামরিক সুবিধা রয়েছে। এই দেশগুলির তুলনায় ভারতের কাছে আরও বিপজ্জনক যুদ্ধবিমান রয়েছে। মাটিতে রয়েছে সর্বাধুনিক ও শক্তিশালী অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা।