গুলি চলছে। গুলিবিদ্ধরা ছিটকে পড়ছেন। এমনই রক্তাক্ত পরিস্থিতি বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতীয় নির্বাচনে। অভিযোগ, ভোট লুঠ করতে মরিয়া শাসক দল আওয়ামী লীগ। তাদের পাল্টা অভিযোগ, ভোট বয়কট করে বিক্ষিপ্ত হামলায় জড়িত বিএনপি দল। আর বিএনপির পাল্টা দাবি, এবারের নির্বাচনে একদলীয় শাসন কায়েম হলো বাংলাদেশে। নির্বাচনে খুনের ঘটনা ঘটেছে। তবে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শান্তিপূর্ণ ভোট দেখা গেছে।
মুন্সিগঞ্জে ভোট কেন্দ্রের কাছে গুলি করে খুনের ঘটনা ঘটে। নিহত হন আওয়ামী লীগের সমর্থক। আর চট্টগ্রাম-১০ আসনের পাহাড়তলী ডিগ্রি কলেজে ভোট লুঠ করতে এসে এক যুবক প্রকাশ্যে পিস্তল গুলি ছুড়তে শুরু করে। দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এমনই জানান চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।
১২ তম বাংলাদেশ নির্বাচনে বাংলাদেশের সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ বনাম বিক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের মূল ভোট লড়াই। সংসদে বিরোধী দল বলে চিহ্নিত জাতীয় পার্টির সাথে আসন সমঝোতা হয়েছে আওয়ামী লীগের। মূল বিরোধী শক্তি বিএনপি ভোট বয়কট করেছে। আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা ফের সরকার গড়ছেন বলে দাবি বিশ্লেষণকদের।
ভোট বয়কটের জন্য হরতালের ডাক দেয় বিএনপিসহ বিভিন্ন দল। এর জেরে বহু ভোট কেন্দ্রে ভোটদাতার সংখ্যা কম।
বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচনের নির্ধারিত সময়সীমা শেষে কোনওরকমে ৩০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পড়ল। দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে বিকাল চারটা পর্যন্ত সারাদেশে জাতীয় সংসদের ২৯৯টি আসনে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে বেলা ৪টার পরেও যদিও কেন্দ্রের ভেতরে চারশো গজের বেষ্টনীর ভেতর থাকা কোন ভোটার অপেক্ষমাণ থাকলে, তার ভোট গ্রহণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ৪টা পর্যন্ত ওই চারশো গজের ভেতরে থাকা প্রতিটি ভোটার ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন।