মুজিবের ছবি ছিঁড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা, ক্ষোভ প্রকাশ শিক্ষকদের

বাংলাদেশে (Attack on Dhaka University)অশান্তির পরিবেশ যেন কিছুতেই থামছে না। একদিকে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতন এবং অন্যদিকে শিক্ষাঙ্গনে হামলার ঘটনা বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের…

Alleged Attack on Dhaka University Sparks Unrest, Tensions Escalate in Bangladesh

বাংলাদেশে (Attack on Dhaka University)অশান্তির পরিবেশ যেন কিছুতেই থামছে না। একদিকে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতন এবং অন্যদিকে শিক্ষাঙ্গনে হামলার ঘটনা বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Attack on Dhaka University) শিক্ষক সমিতির অফিসে হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। হামলার অভিযোগ কট্টরপন্থী গোষ্ঠী ইউনূস বাহিনীর বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাত ১০টার দিকে, যখন সরকার পক্ষের ২০-৩০ জন ব্যক্তি শিক্ষক সমিতির অফিসে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায়। অভিযোগ, হামলাকারীরা শিক্ষকদের অফিসে থাকা সমস্ত আসবাবপত্র ভেঙে দেয় এবং শেখ মুজিবুর রহমানের (Attack on Dhaka University) ছবি ছিঁড়ে ফেলে। শুধু তাই নয়, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে রাখা ফুলও ছিঁড়ে ফেলা হয় এবং নষ্ট করা হয়। এতে করে শিক্ষা মহলে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

   

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Attack on Dhaka University) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, “এই ধরনের হামলা এবং ভাঙচুর শিক্ষাঙ্গনের জন্য অগ্রহণযোগ্য। আমরা এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ চাই।” তিনি আরো বলেন, “এই ঘটনা আমাদের শিক্ষকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে, এবং এর মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে স্বাধীনতা ও মর্যাদা রয়েছে তা লঙ্ঘিত হয়েছে।”

বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনও এই ঘটনার নিন্দা করেছে এবং একে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধে একটি আঘাত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাদের অভিযোগ, ইউনূস বাহিনীর মদতপুষ্ট কিছু কট্টরপন্থী গোষ্ঠী এই ধরনের হামলার পৃষ্ঠপোষকতা করছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে শিক্ষাঙ্গনও নিরাপদ নয়।

এই হামলার পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা এবং ছাত্ররা প্রতিবাদী অবস্থানে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন, যেমন ছাত্রলীগ, শিক্ষক সমিতি, এবং বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী সংগঠন এই ঘটনার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে। তারা অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাজপথে নেমে আসেন এবং পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

শিক্ষক এবং ছাত্রদের দাবি, রাজনৈতিক কারণে শিক্ষাঙ্গনে যে অশান্তি চলছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। তারা মনে করেন, এই ধরনের হামলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির নিরপেক্ষতা এবং শিক্ষকদের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করছে। তারা সরকারের কাছে এর দ্রুত তদন্ত এবং শাস্তির ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, এই হামলার ঘটনায় কট্টরপন্থী দলগুলোর মধ্যে চাপানউতোর আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কি ধরনের বিপদে পড়বে, তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। একদিকে, বিএনপি এবং আওয়ামি লিগের মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে, অন্যদিকে এই ধরনের হামলা দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মনে করেন, যদি এই ধরনের ঘটনা রোধ না করা যায়, তবে দেশের শিক্ষাঙ্গন বিপদগ্রস্ত হবে। তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যাতে শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় এবং দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে মুক্ত রাখা হয়।

এটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি অন্ধকার দিন। শিক্ষাঙ্গনে নিরাপত্তার অভাব এবং রাজনৈতিক চাপের কারণে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে, যা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।