বাংলাদেশের (Bangladesh) সনাতনী ধর্মীয় নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ তার নিজের দেশেই রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে অভিযুক্ত। তাকে জেলে পাঠিয়েছে আদালত। চিন্ময়কৃষ্ণ দাশের অনুগামীদের বিক্ষোভ চলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশের সরকার পুলিশ বিভাগকে বিশেষ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
কী কারণে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা?
অভিযোগ ২৫ আগস্ট চট্টগ্রামে এক সমাবেশে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সোমবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকায় গ্রেফতার করা হয় চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে আদালতে পাঠানোর আদেশ দেন।
চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট মোড়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার উপরে গেরুয়া রঙের আরেকটি পাতাকা টাঙানোর অভিযোগ ওঠে। এরপর চিন্ময়কৃষ্ণসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহের মামলা হয়। ওই সমাবেশের আয়োজক ছিল সনাতন জাগরণ মঞ্চ। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন প্রাক্তন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। মোট ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫/২০ জনকে আসামি করা হয়। চিন্ময়কৃষ্ণ ছাড়াও এই তালিকায় আছে ইসকন প্রবর্ত্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ দাশ ব্রহ্মচারীর নাম।
মামলার অভিযোগ, একটি লাঠিতে জাতীয় পতাকা বেঁধে দেওয়া হয়। গত ২৫ অক্টোবর লালদীঘির মাঠে বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের সমাবেশের দিন নিউ মার্কেটের ওই পতাকার উপর গেরুয়া রঙের আরেকটি পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নানা ধরনের সমালোচনা হয়। পরে সেটি সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
উল্লেখ্য চট্টগ্রামে এই সমাবেশ হয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর। গত ৫ অগাস্ট রক্তাক্ত গণবিক্ষোভে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আট দফা দাবিতে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশসহ নানান কর্মসূচি পালন করে আসছে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট।
টাকার আদলে চাঁদার রশিদ বিতর্ক
ইসকনের বাংলাদেশ শাখার বিরুদ্ধেও দেশের টাকার আদলে চাঁদার রশিদ ছাপানোর অভিযোগ উঠেছে। সামাজিন মাধ্যমে ছড়িয়েছে সেই রশিদের ছবি। এতে আরও ক্ষোভ ছড়াচ্ছে। তবে এই বিতর্কিত চাঁদা ইস্যুটি পূর্বতন সরকারের আমলে বলেই সামাজিক মাধ্যমে অনেকে জানিয়েছেন।
চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারির পর বাংলাদেশ ইসকন শাখা উদ্বিঘ্ন। যদিও জানা যাচ্ছে, চিন্ময়কৃষ্ণ ইসকন থেকে বহিষ্কৃত। ইসকনের তরফে বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে চিন্ময়কৃষ্ণর মুক্তি চাওয়া হয়।