বিক্ষোভ থেকে স্লোগান ‘শেখ হাসিনার দরকার নাই’। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে পড়ুয়াদের আন্দোলন ও বিক্ষোভের নতুন পর্ব ছড়াল শুক্রবার। এদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চের ডাকা ‘ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ফের গরম (Bangladesh) বাংলাদেশ।
খুলনা, ঢাকা, সিলেটসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ফের ছড়াল। খুলনার পরিস্থিতি এমনই যে সেখানে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়। কয়েকজন গুলিবিদ্ধ বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা যাচ্ছে। চট্টগ্রামে পুলিশ ও পড়ুয়াদের সংঘর্ষে একাধিক জখম।
রাজধানী ঢাকায় পুলিশের সাঁজোয়া গাড়ি দখল করে পড়ুয়ারা লাল কালি লেপে দেন। ঢাকায় পড়ুয়াদের সঙ্গে সংঘর্ষে জ়ড়ায় পুলিশ ও ছাত্র লীগ। সংঘর্ষে গুলি চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় ছড়াচ্ছে সংঘর্ষ।
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ইস্যু ঘিরে যে গণবিক্ষোভ গত মাসে সংঘটিত হয়েছিল সেই রেশ ধরে ফের কোটা আন্দোলন তীব্র। পড়ুয়াদের আন্দোলনে সামিল বাংলাদেশের সুশীল সমাজের একাংশ। একের পর চলচ্চিত্র অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পড়ুয়াদের মিছিলে গুলি চালানোর তীব্র প্রতিবাদ করছেন। যদিও বাংলাদেশ সরকারের দাবি, পড়ুয়াদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে দেশে সরকার ফেলার ষড়যন্ত্রে সামিল জামাত ইসলামি ও তাদের ঘনিষ্টরা।
অলিম্পিকে ট্রান্সজেন্ডার চলবে না, কমলার ‘অতি-বাম’ আচরণকে তীব্র কটাক্ষ ডনের
গত ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশ সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের ইস্যুতে আন্দোলন শুরু করে পড়ুয়ারা। প্রায় দুই সপ্তাহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চললেও এক পর্যায়ে তা আর শান্তিপূর্ণ থাকেনি। দেশব্যাপী সংঘাত সংঘর্ষে শতাধিক নিহত। হাজার হাজার গ্রেফতার। তীব্র রাজনৈতিক অস্থিরতা বাংলাদেশে।
পড়ুয়াদের আন্দোলনের মাঝে গত মাসেই বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা নীতি বদলে ৯৩ শতাংশ মেধায় নিয়োগ নির্দেশ দেয়। সরকার সেই নির্দেশ মেনে নতুন নোটিশ জারি করেছে।
প্রশ্ন উঠছে, কোট নিয়মের আমূল সংস্কারের পরেও আন্দোলন বিক্ষোভ কেন? বিক্ষোভকারী ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ মঞ্চের দাবি, নির্বিচারে গুলি চালিয়ে পড়ুয়াদের খুন করার পর সরকারকে ক্ষমা চাইতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করেছে বিক্ষোভকারীরা।
মিছিলে গুলি, ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রেফতার ও নির্যাতনের অভিযোগ এনেছে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের মঞ্চ। তাদের দাবি অবিলম্বে শি়ক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে হবে। পাশাপাশি এও দাবি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের শাখা ছাত্র লীগের জুলুমের তদন্ত চাই।
পড়ুয়াদের দাবি সমর্থন করেছে অন্যতম বিরোধী দল বিএনপিসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন। উল্লেখ্য নিষিদ্ধ জামাত ইসলামির তরফে আন্দোলনকে সমর্থন করে বলা হয়েছে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারের পতন হবেই।