HomeWorldBangladeshতৃণমূলের ভোট প্রচারক ছিলেন ফেরদৌস, হাসিনা পালাতেই জবাই হবার ভয়ে কাঁপছেন

তৃণমূলের ভোট প্রচারক ছিলেন ফেরদৌস, হাসিনা পালাতেই জবাই হবার ভয়ে কাঁপছেন

- Advertisement -

ফেরদৌস কই? বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের সাংসদ যিনি পশ্চিমবঙ্গের শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের ‘ভোট প্রচারক’ আত্মগোপনে। তাঁকে পেতে গরু খোঁজার মত খোঁজ চলছে। ধরতে পারলেই ফেরদৌসকে (Ferdous Ahmed) ‘গরু জবাই’য়ের মত কেটে ফেলা ও গণপিটুনিতে মেরে ফেলার হুঙ্কার দিচ্ছে খোঁজাড়ুরা। গত সোমবার (৫ আগস্ট) বাংলাদেশে রক্তাক্ত গণবিক্ষোভের ধাক্কায় শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়েছে। জীবন বাঁচাতে হাসিনা ভারতে চলে এসেছেন। তিনি দেশ থেকে পালানোর আগেই পরিস্থিতি বুঝে আওয়ামী লীগের সাংসদ ফেরদৌস আহমেদ আত্মগোপনে চলে যান।

ঢাকাইয়া চিত্রতারকা ফেরদৌস পশ্চিমবঙ্গেও পরিচিত। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে তাঁর অভিনীত সিনেমা দেখার ভিড় চোখে পড়ে। বিদেশি অভিনেতা ফেরদৌস দিয়ে ভারতে ভোট প্রচার করিয়ে তীব্র বিতর্কে জড়িয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের শাসক তৃ়ণমূল কংগ্রেস।পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের হয়ে বাংলাদেশি নায়ক ফেরদৌসকে গত ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের প্রচার এনেছিল তৃ়নমূল। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সমর্থনে প্রচার করেছিলেন বাংলাদেশি অভিনেতা ফেরদৌস। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগের পর ফেরদৌসকে দ্রুত ভারত ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। ফেরদৌসকে কালো তালিকাভুক্ত করে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

   

ভারত থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে গত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হন ফেরদৌস। প্রবল রিগিং ভোটে ঢাকা-১০ আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন। সরকার পতনের পর ‘ফেরদৌস কই’ বলে সামাজিক মাধ্যমেই চলছে খুনের হুমকি।জানা গেছে শেখ হাসিনার পতন হচ্ছে ধরে নিয়েই একগুচ্ছ মন্ত্রী, সাংসদ, আওয়ামী লীগ নেতারা বাংলাদেশ থেকে পালান। তাদের কেউ ভারতে, কেউ সিঙ্গাপুরে, কেউ মালয়েশিয়া, কেউ ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে চলে যান। যারা পারেননি তারা মৃত্যু ভয়ে কাঁটা। পালাতে গিয়ে ঢাকা বিমানবন্দরে একাধিক হাসিনার ঘনিষ্ঠ নেতারা ধৃত। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে ফের জামাত ইসলামি ও বিএনপি নিয়ন্ত্রিত রাজনীতির উত্থান হয়েছে। ‘হাসিনা পালানোর পরেই বাংলাদেশ দোর্দণ্ডপ্রতাপ আওয়ামী লীগ এখন গর্তে ঢোকা ভীতু ইঁদুর’ বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।গণরোষে পুরো বাংলাদেশ জুড়েই আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মেরে পুড়িয়ে উল্লসিত হামলাকারীরা। তাদের অভিযোগ, শেখ হাসিনার টানা চার দফা শাসনে লীগার নেতাদের অত্যাচার ছিল সীমাহীন। আরও অভিযোগ, সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ইস্যুতে ছাত্রদের আন্দোলন থামানোর জন্য শেখ হাসিনার নির্দেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতারা প্রকাশ্যে গুলি করে নির্বিচারে খুন করছিল।

- Advertisement -
Business Desk
Business Desk
Stay informed about the latest business news and updates from Kolkata and West Bengal on Kolkata 24×7
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular