Bangladesh: মধ্যরাতে লুঙ্গি পরে থাইল্যান্ডে পালালেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, ঢাকায় শোরগোল

Abdul Hamid Leaves Bangladesh ঢাকা: বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদ দেশ ছেড়েছেন গভীর রাতে, যখন দেশের মানুষ ঘুমিয়ে। থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ভোর ৩টার…

Bangladesh: মধ্যরাতে লুঙ্গি পরে থাইল্যান্ডে পালালেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, ঢাকায় শোরগোল

Abdul Hamid Leaves Bangladesh

ঢাকা: বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদ দেশ ছেড়েছেন গভীর রাতে, যখন দেশের মানুষ ঘুমিয়ে। থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ভোর ৩টার সময় ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি পাড়ি দেন থাইল্যান্ডের উদ্দেশে। তাঁর এই আকস্মিক ও নীরব দেশত্যাগ ঘিরে উত্তাল দেশের রাজনৈতিক আবহ।

আবদুল হামিদ বিদেশে

যখন অন্তর্বর্তী সরকার সকালবেলা এই খবর জানতে পারে, ততক্ষণে আবদুল হামিদ বিদেশে। সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দর ও গোয়েন্দা বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা বরখাস্ত ও বদলি করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তে গঠন করা হয়েছে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি, যার নেতৃত্বে রয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার।

   

বিচার এড়াতেই দেশত্যাগ? Abdul Hamid Leaves Bangladesh

আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছিল গত বছরের হাসিনা-বিরোধী আন্দোলন দমন প্রসঙ্গে। সেই সময়ে বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালিয়ে বহুজনকে হত্যা করার অভিযোগে দায়ের হওয়া একাধিক মামলায় তাঁর নাম উঠে আসে।

বিশেষ করে ২০২৪ সালের ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় দায়ের হওয়া একটি খুনের মামলায় আবদুল হামিদ ছিলেন অন্যতম অভিযুক্ত। সেই মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং ওবায়দুল কাদেরের মতো তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বরাও সহ-অভিযুক্ত।

পরিবার বলছে চিকিৎসা, বিরোধীরা বলছে পালানো

পরিবারের দাবি, ৮১ বছর বয়সী আবদুল হামিদ চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন, সঙ্গে গেছেন তাঁর ভাই ও ভগ্নিপতি। তবে রাজনৈতিক বিরোধীদের বক্তব্য, এটি পরিকল্পিত দেশত্যাগ—তাঁকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে যাতে দেশে আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে না হয়।

এই দাবি আরও জোরালো হয়েছে একটি ভাইরাল সিসিটিভি ফুটেজ ঘিরে, যেখানে দেখা গেছে, হুইলচেয়ারে বসা আবদুল হামিদ লুঙ্গি পরা অবস্থায় বিমানবন্দরে প্রবেশ করছেন।

SAD-এর ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

‘স্টুডেন্টস এগেইনস্ট ডিসক্রিমিনেশন’ (SAD), যারা মূল সংরক্ষণ-বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয় এবং পরে তা হাসিনা-বিরোধী গণআন্দোলনে রূপ নেয়, তারা দোষীদের বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছে।

Advertisements
রাষ্ট্রপতির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন

বিরোধী নেতাদের মতে, হামিদের দেশত্যাগ ‘মেনেজ’ করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর মদতেই। ‘আমাদের সময়’ পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজনীতিক হান্নান মাসুদ বলেন, “তাঁকে বিদেশে যেতে দেওয়ার পেছনে স্পষ্টতই উপরের স্তরের অনুমোদন ছিল। এটা নিছক অবহেলা নয়।”

আওয়ামী লীগের অতীত, বর্তমানের সংকট

আবদুল হামিদের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়েছিল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ থেকে। পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী লীগের সাংসদ হন এবং শেষ পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদ—রাষ্ট্রপতি—পদে আসীন ছিলেন ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত।

২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে অন্তর্বর্তীকালীন ইউনুস সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, যার পরে আওয়ামী ঘরানার অনেক নেতার বিরুদ্ধেই তদন্ত শুরু হয়।

আবদুল হামিদের হঠাৎ দেশত্যাগ নিছক একটি চিকিৎসাজনিত সফর নাকি রাজনৈতিক পালানোর চেষ্টার অংশ, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও অস্পষ্ট। তবে সরকারের আচরণ, তদন্তের গতি এবং বিরোধীদের চাপ—সব মিলিয়ে ঘটনাটি দেশের রাজনীতিতে বড়সড় অনিশ্চয়তার ছাপ ফেলেছে।

Bangladesh: Former Bangladeshi President Abdul Hamid departs for Thailand at 3 AM, sparking controversy. Interim government launches investigation, with officials suspended. Allegations of fleeing legal proceedings related to 2024 protests. Family cites medical reasons, while opposition alleges escape.