বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদের ভিতর তীব্র সংঘর্ষ, বিপুল সেনা ও পুলিশ মোতায়েন

সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদশের (Bangladesh) সর্বত্র অরাজকতা। এবার দেশের জাতীয় মসজিদ ঢাকার বায়তুল মোকাররমে দুই গোষ্ঠীর তীব্র সংঘর্ষ। সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মুখে…

সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদশের (Bangladesh) সর্বত্র অরাজকতা। এবার দেশের জাতীয় মসজিদ ঢাকার বায়তুল মোকাররমে দুই গোষ্ঠীর তীব্র সংঘর্ষ। সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মুখে আল্লাহর নাম নিয়েই দুই গোষ্ঠী পরস্পরকে বেদম মারধর করছে।

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বিশেষ দিন হল সপ্তাহের শুক্রবার। প্রথামাফিক বায়তুল মোকাররম মসজিদে বিপুল উপস্থিতি ছিল। এখানেই বেধে যায় সংঘর্ষ। মসজিদের বাইরে থেকে কালো ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। দুপক্ষ পরস্পরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে।

   

জানা গেছে  ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া মুফতি রুহুল আমিনের পিছনে দাঁড়িয়ে নামাজ না পড়া নিয়ে বায়তুল মোকাররমে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।শুক্রবার দুপুরে মসজিদের গেটের ভেতরে এই ঘটনায় তীব্র আনোড়িত বাংলাদেশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নামাজের আগে বয়ানের সময় কয়েকজন মুসল্লি খতিব মুফতি রুহুল আমিনের পেছনে নামাজ পড়তে অনীহা প্রকাশ করেন  আরেকদল মুসল্লি প্রতিবাদ করেন। পরে এ নিয়ে দুই পক্ষ পরস্পর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন নামাজ না পড়িয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন মুফতি রুহুল আমিন।

অপরপক্ষের দাবি  বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বয়ান করছিলেন।এমন সময় পলাতক খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন অনুসারীদের নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদে এসে বর্তমান খতিবের মাইক্রোফোনে হাত দেন।  বর্তমান খতিবের অনুসারীরা রুহুল আমিনের অনুসারীদের প্রতিরোধ করেন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে দ্রুত বায়তুল মোকাররম মসজিদে আসেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা এলাকায় পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য অবস্থান করছে রয়েছে জল কামান এবং কয়েক শতাধিক পুলিশ ও আর্মাড গাড়ি।