জোড়া হামলায় গাজায় নিহত অন্তত ৪২ জন, হাসপাতালে জমছে মৃতদেহের স্তুপ

মাসের পর মাস কেটে গেলেও ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ যেন থামারই নাম নিচ্ছে না। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের কারণে প্রত্যেকদিনই বহু মানুষের মৃত্যু…

মাসের পর মাস কেটে গেলেও ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ যেন থামারই নাম নিচ্ছে না। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের কারণে প্রত্যেকদিনই বহু মানুষের মৃত্যু ঘটছে। এবারেও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। জানা যাচ্ছে, শনিবার গাজার উত্তরাঞ্চলে ইজরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪২ জন নিহত হয়েছেন।

সেইসঙ্গে বক্ষয় ঘর বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে  উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পরাদের খুঁজছে। গাজা সিটির আল-আহলি হাসপাতালের পরিচালক ফাদেল নাঈম সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি বলেন, হাসপাতালে তিন ডজনেরও বেশি মৃতদেহ এসেছে। গাজায় সক্রিয় ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স নামের একটি জরুরি গোষ্ঠী জানিয়েছে, তাদের জরুরি কর্মীরা গাজা সিটির পশ্চিমে শাতি শরণার্থী শিবিরে ধর্মঘটের স্থানে জীবিতদের খোঁজ চালাচ্ছে। সেইসঙ্গে গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় ইজরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি বাড়ি থেকে কয়েক ডজন মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

   

ইজরায়েল শনিবার বলেছে যে তাদের যুদ্ধবিমানগুলি গাজা সিটি এলাকায় হামাসের দুটি সামরিক জায়গায় আঘাত হেনেছে, তবে এর বেশি কিছু জানায়নি। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ শহরের কাছে তাঁবু শিবিরে হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হওয়ার একদিন পর এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটল। ইজরায়েল শনিবার বলেছে যে তারা মধ্য ও দক্ষিণ গাজায় তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে এবং রাফায় তার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যেখানে এক মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্তিনি অন্যত্র লড়াই থেকে আশ্রয় চেয়েছিল। এদের অধিকাংশই এখন শহর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

এদিকে ভয়ানক তথ্য দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। UN বলছে গাজার কোনো জায়গাই নিরাপদ নয় এবং পরিবারগুলো পর্যাপ্ত খাবার, জল বা চিকিৎসা সরবরাহ ছাড়াই তাঁবু ও জরাজীর্ণ অ্যাপার্টমেন্টে আশ্রয় নিচ্ছে।