ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াগী’ (Typhoon Yagi)-র দাপটে ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়েছে দেশজুড়ে ফুঁসছে সমুদ্রও। এদিকে এই সাইক্লোনের দাপটে শতাধিক মানুষের মৃত্যু ঘটল।
আসলে ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলে টাইফুন ইয়াগির আঘাতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৭ জনে দাঁড়িয়েছে। কৃষি মন্ত্রকের অধীন দুর্যোগ কর্মকর্তারা এক সরকারি রিপোর্টে জানিয়েছেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে এখনও অবধি প্রায় ১২৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এর পাশাপাশি আড়াই লাখ হেক্টরের বেশি জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, গত ৩০ বছরের মধ্যে উত্তর ভিয়েতনামে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগী। ঘন্টায় ১৪৯ কিলোমিটারের বেশি বেগে বয়ে যাওয়া ঝড় আঘাত হানার পর সেতু ধসে পড়েছে। বহু বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে এবং কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলের মানুষ ভয়াবহ বন্যার সঙ্গে লড়াই করছে।
অন্যদিকে হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। তবে এখনও বন্যার কবলে আটকে পড়েছেন। প্রশাসনের তরফে বহু মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হ্যানয়ের উপকণ্ঠে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত একটি জেলায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হ্যানয়ের বন্যা গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে জানা গেছে এবং এর ফলে ব্যাপক লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উত্তর ভিয়েতনামের লাও কাই প্রদেশের লাং নু শহর মঙ্গলবার আকস্মিক বন্যায় ভেসে গেলে সপ্তাহের শুরুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে যায়। শত শত উদ্ধারকর্মী বুধবার জীবিতদের সন্ধানে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন, কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৫৩ জন গ্রামবাসী নিখোঁজ ছিলেন এবং আরও সাতটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে, এতে মৃতের সংখ্যা ৪২ জনে দাঁড়িয়েছে।
কয়েক দশকের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ছিল ইয়াগী। শনিবার ঘণ্টায় ১৪৯ কিলোমিটার বেগে বাতাসের গতিবেগ নিয়ে এটি স্থলভাগে আঘাত হানে। রবিবার দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল এবং নদীগুলি বিপজ্জনক স্তরে রয়েছে। বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বন্যা ও ভূমিধসে, অনেকে চীনের সীমান্তবর্তী উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় লাও কাই প্রদেশে, যেখানে লাং নু অবস্থিত।