ফিলিস্তিনি জঙ্গি সংগঠন হামাসের আক্রমণে যুদ্ধ চলছে ইজরায়েলে। যুদ্ধের জেরে দুই দেশে কয়েক হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। এই যুদ্ধবিদ্ধস্ত ইজরায়েলে আটকে পড়েছেন বহু ভারতীয়। যাদের মধ্যে রয়েছেন তিরুচির আনবিল ধর্মলিঙ্গম এগ্রিকালচারাল কলেজ অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এস রাথিকা। দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে অধ্যাপিকার পরিবারের।
অধ্যাপিকা এস রাথিকা, নেগেভের বেন-গুরিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ড্রিপ সেচের উপর দুই মাসের প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে রয়েছেন। তিনি ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ইজরায়েলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন।রথিকার স্বামী রমেশ জানিয়েছেন, আমার স্ত্রী গাজার নিকটবর্তী নেগেভে আটকে পড়েছেন। রাথিকা বর্তমানে একটি ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে লুকিয়ে রয়েছেন, উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছেন। তিনি বলেন, রাথিকা জানিয়েছেন যখনই সাইরেন বেজে ওঠে, তখনই তাকে বেসমেন্টে ছুটে যেতে হয় এবং একটি বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে হয়, যেটি তার থাকার জায়গা থেকে প্রায় ৩০ মিনিট দূরে। সেখানে কখন এক ঘন্টা বা কখনও কখনও সাইরেন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত থাকেন।
রথিকার স্বামী, যিনি একজন অধ্যাপক এবং তামিলনাড়ু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (টিএনএইউ) কৃষিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান।তিনি বলেন, রাথিকা বর্তমানে নিরাপদে থাকলেও তিনি দেশে ফেরার জন্য খুবই উদ্বিগ্ন।রমেশ আরও বলেছিলেন যে রথিকার বাবা-মাও সমান চিন্তিত এবং তাদের ১৩ বছর বয়সী ছেলে আছে যে তার মায়ের সাথে দেখা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
রমেশ আরও জানান যে ভারতীয় দূতাবাস ইতিমধ্যেই রাথিকার সাথে যোগাযোগ করেছে এবং বলেছে যে তারা দ্রুত ওই অঞ্চলে উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করবে। এহেনপরিস্থিতিতে বাড়ির লোকের চিন্তায় ঘুম উড়েছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজ়রায়েলে আটকে থাকা প্রায় ৪৫০ জন ভারতীয়কে নিরাপদে দেশে ফিরিয়েছে কেন্দ্র। শনিবার সকালে দুই শিশু-সহ ওই ২৩৫ জনকে নিয়ে নয়াদিল্লিতে অবতরণ করে কেন্দ্রের পাঠানো বিশেষ বিমান। ইজ়রায়েলে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর জন্য বিশেষ চার্টার্ড বিমানের ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফে এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন অজয়’।