ভয়াবহ পরিস্থিতি। আরাকান আর্মির (Arakan Army) হামলায় গোয়া (Gwa) শহর থেকে পালিয়েছে সেনা! এই শহরের দখল চলে গেছে বিদ্রোহীদের হাতে। সেনাবাহিনীর পরাজয় সংবাদ নিশ্চিত করেছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা। গোয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। উপকূল এলাকার এই শহরের নিয়ন্ত্রণ এখন সরকার বিরোধীদের হাতে। (arakan army captures myanmars-gwa city)
গোয়া শহরে তীব্র সংঘর্ষ (arakan army captures myanmars gwa city)
গোয়া-মায়ানমারের এমন এক শহর যেটি দেশটির সামরিক সরকার বিরোধী গোষ্ঠীর কব্জায়। বঙ্গোপসাগর তীরে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের (পূর্বতন আরাকান রাজ্য) দক্ষিণতম প্রান্তে আছে গোয়া শহর। এই শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আরাকান আর্মি। শহরটি দখলের পর এই বিবৃতিতে সশস্ত্র সংগঠনটি জানিয়েছে, তারা রাজনৈতিক উপায়ে অভ্যন্তরীণ সংঘাত সমাধানে প্রস্তুত।
মায়ানমারের সামরিক সরকার পতনের মুখে (arakan army captures myanmars-gwa city)
মায়ানমারের ক্ষমতা থেকে ক্রমে পিছু হটার পথে দেশটির সামরিক সরকার। এক রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানে ২০২১ সালে বর্মী সেনা নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় আসতে না দিয়ে নিজেরাই সরকার গড়ে। বন্দি করা হয় মায়ানমারের সর্বময় নেত্রী আউং সান সু কি-সহ অন্যান্য নেতাদের। সামরিক সরকারের বিরোধী গণতন্ত্র ফেরানো আন্দোলনকারীদের গণহত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর সেনা সরকার বিরোধী একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলা চলছে। তেমনই এক গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
বৃহস্পতিবার (২জানুয়ারি) মায়ামনারের সংবাদমাধ্যম ‘ইরাবতী’ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে রাখাইন আক্রমণ শুরুর মাত্র ১৩ মাস পর পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যটির ১৭টি টাউনশিপের মধ্যে ১৪টিই এখন আরাকান আর্মির দখলে। এর অন্যতম গোয়া।
আরাকান আর্মির তীব্র হামলা (arakan army captures myanmars gwa city)
আরাকান আর্মি সংগঠনের মুখপাত্র খাইং থুখা বলেছেন, রাজনৈতিক সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান খোঁজা শুরু থেকেই আমাদের নীতি। আমরা এই নীতি মেনে চলছি এবং আলোচনার দরজা খোলা রাখছি। আমাদের আক্রমণ বন্ধ হবে কি না, তা মূলত শাসকগোষ্ঠী কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় তার উপর নির্ভর করে।
ইরাবতী আরও জানিয়েছে, আরাকান আর্মির এখন নানা ধরণের সুবিধা রয়েছে। তারা এখন রাখাইনে বেশিরভাগ চীনা প্রকল্প নিয়ন্ত্রণ করে। যার মধ্যে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন এবং চীনের স্থলবেষ্টিত ইউনান প্রদেশ থেকে ভারত মহাসাগরে প্রবেশাধিকারসহ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সুবিধা।
আরাকান আর্মি জানিয়েছে, ১১তম লাইট ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের নেতা কর্নেল থান সোয়ে উইনসহ বেশ কয়েকজন সেনা কমান্ডার গোয়ায় নিহত হয়েছেন। এরা সবাই সামরিক সরকারের অনুগত। আরাকান আর্মি বলেছে, সরকার গোয়াকে রক্ষার জন্য প্রায় ১২০০ সেনা ব্যবহার করেছে। তাদের মধ্যে আনুমানিক ৭০০ জন সংঘর্ষে মারা গেছে। কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত সাঁজোয়া যান, অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং অনেক সামরিক সরকারের কর্মকর্তাকে আটক করা হয়।
মায়ানমারের গৃহযুদ্ধে সে দেশের সঙ্গে লাগোয়া ভারত ও বাংলাদেশ এলাকায় লাগাতার শরণার্থী অনুপ্রবেশ চলছে। ভারতের দিকে মণিপুরসহ অন্যান্য উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে জারি আছে সতর্কতা। তেমনই বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগে জারি সতর্কতা। চিনের সংলগ্ন মায়ানমারের এলাকায় সমস্তরকম যাতায়াত বন্ধ। তবে মায়ানমারের রাজধানী শহর নেপিদ (নেপিদও) ঘিরে সরকারি বর্মী সেনা বিশেষ নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে রেখেছে।
Gwa is a town in Myanmar that has fallen to the country’s military government. Gwa is located in the southernmost part of Myanmar’s Rakhine State (formerly Arakan State) on the Bay of Bengal. The Arakan Army has claimed full control of the town. In a statement after taking the town, the armed group said it was ready to resolve the internal conflict through political means.