ক্যালিফোর্নিয়া, ২৯ অক্টোবর: শব্দের গতির চেয়েও দ্রুত গতিতে উড়তে পারে এমন X-59 সুপারসনিক বিমানের প্রথম সফল উড্ডয়ন দিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এটিকে এখন ভবিষ্যতের উড্ডয়ন বলা হচ্ছে। সোমবার মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এবং লকহিড মার্টিন পরীক্ষামূলক সুপারসনিক বিমান X-59-এর সফল প্রথম উড়ান প্রত্যক্ষ করে একটি বড় ঐতিহাসিক মুহূর্ত তৈরি করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এটি উড্ডয়নের সময় কোনও শব্দ করে না। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে এই “নীরব” বিমানটি শব্দের গতির চেয়েও দ্রুত উড়তে পারে।
ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রথম উড্ডয়ন
আমেরিকার X-59 সুপারসনিক বিমানটি ক্যালিফোর্নিয়া মরুভূমিতে তার প্রথম উড্ডয়ন করেছে। নাসার প্রধান পরীক্ষামূলক পাইলট নীলস লারসেন সকাল ৮:১৪ মিনিটে প্যাডিংটন (পামডেল)-এর লকহিড মার্টিন স্কাঙ্ক ওয়ার্কস ফ্যাসিলিটি থেকে উড্ডয়ন করেন এবং এডওয়ার্ডসের নাসা আর্মস্ট্রং ফ্লাইট রিসার্চ সেন্টারে সফলভাবে অবতরণ করেন। তখন পুরো মঞ্চ উত্তেজনা, উৎসাহ এবং করতালিতে ফেটে পড়ে। এই প্রথম উড্ডয়ন, যা সাবসনিক গতিতে (শব্দের গতির নিচে) সীমাবদ্ধ ছিল, বিমানের উড্ডয়নের যোগ্যতা পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। উড্ডয়নটি প্রায় 30 মিনিট স্থায়ী হয়েছিল, সমস্ত সিস্টেম স্বাভাবিক অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল।
🚀 The US has unveiled the first flight of a “quiet” aircraft capable of flying faster than the speed of sound
NASA and Lockheed Martin conducted the first tests of the experimental X-59. The aircraft was built as a one-of-a-kind prototype and could pave the way for the return… pic.twitter.com/TOmaucwLgo
— NEXTA (@nexta_tv) October 29, 2025 >
X-59 এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?
X-59 কোয়ায়েট সুপারসনিক টেকনোলজি (QueSST) প্রকল্পের অধীনে তৈরি করা হয়েছে। এটি একটি অনন্য প্রোটোটাইপ বিমান। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল সোনিক বুম কমানো, যা প্রচলিত সুপারসনিক বিমানে ১১০-১৪০ ডেসিবেল (বজ্রপাতের মতো জোরে শব্দ) উৎপন্ন করে। X-59 এর বিশেষ ফিউজলেজ জ্যামিতি এর নাক থেকে হাল এবং ডানার দিকে বায়ুপ্রবাহকে নির্দেশ করে, যার ফলে বুমটি উপরের দিকে কোণাকুনি হতে পারে। এর ফলে মাত্র 60-80 ডেসিবেলের একটি “থম্প” শব্দ হয়, যা গাড়ির দরজা বন্ধ করার মতো।


