চালু হল বিমান পরিষেবা, নেপালে পরিস্থিতি কি নিয়ন্ত্রণে আসছে?

কাঠমান্ডু: মঙ্গলবার প্রবল বিক্ষোভ, রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অরাজকতার আবহে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কাঠমান্ডুর বিমান পরিষেবা। প্রধানমন্ত্রী অলির পলায়নের পর দেশের…

চালু হল বিমান পরিষেবা, নেপালে পরিস্থিতি কি নিয়ন্ত্রণে আসছে?

কাঠমান্ডু: মঙ্গলবার প্রবল বিক্ষোভ, রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অরাজকতার আবহে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কাঠমান্ডুর বিমান পরিষেবা। প্রধানমন্ত্রী অলির পলায়নের পর দেশের শাসনভার তুলে নেয় সেনা। বুধবার কড়া নিরাপত্তার আবহে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পুনরায় বিমান পরিষেবা চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নেপালের সিভিল এভিয়েশন অথরিটি।

যাত্রীদের বিমানসংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিমান চলাচলের আপডেট নিতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে বৈধ টিকিট এবং কাগজপত্র নিয়ে যাত্রা করতে বলা হয়েছে বিমান যাত্রীদের। গতকাল রাতের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বুধ এবং বৃহস্পতিবারেও কার্ফু জারি থাকবে বলে সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে, লুটপাট এবং জেল ভাঙাকে কঠোর হাতে দমন করছে নেপাল সেনাবাহিনী।

   

কাঠমান্ডুর সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী মহারাজগঞ্জে লুটপাটকারী ৪ জন ব্যক্তিকে আটক কড়া হয়েছে। শহর জুড়ে টহল দিচ্ছে সেনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রতিবাদীদের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আলোচনায় বসার বার্তা দিয়েছিলেন সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল।

Advertisements

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার অন্তত চারটি কাঠমান্ডু-মুখী বিমান লখনউয়ের চৌধুরী চরণ সিং বিমানবন্দরে নামতে বাধ্য হয়। আবুধাবি থেকে আসা একটি বিমানে ১৪৪ জন যাত্রী ছিলেন, সেটিও বারাণসীতে অবতরণ করে। ফলে লখনউ এয়ারপোর্টে সন্ধ্যা নামার আগেই সারি সারি বিমানের ভিড় জমে।

বিমান পরিষেবা বন্ধ হওয়ায় বহু মানুষ আটকে পড়েন নেপালে। রাক্সৌল, পানিট্যাঙ্কি সহ ভারত-নেপাল একাধিক সীমান্ত দিয়ে ভারতীয়রা দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন। কড়া নিরাপত্তায় নেপাল-ভারত সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। সীমান্তে টহল দিচ্ছে ভারতীয় সেনা এবং সশস্ত্র দল।